২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১০:৪৭:৫৩ অপরাহ্ন


২০ ভাষায় সম্প্রচার হবে হজের খুতবা
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৬-২০২৩
২০ ভাষায় সম্প্রচার হবে হজের খুতবা আরাফাত ময়দান। ফাইল ছবি (সংগৃহীত)


চলতি বছর আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা অনুবাদ করে বাংলাসহ আরও ২০ ভাষায় সম্প্রচার করা হবে। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) আরাফাতের ময়দান থেকে আরবিতে এ খুতবা প্রদান করা হবে।

মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী বিষয়ক ওয়েব পোর্টাল হারামাইন শরিফাইন এই তথ্য জানিয়েছে। 

যে ২০ ভাষায় হজের খুতবা অনুবাদ করা হবে সেগুলো হলো: ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, মালয়, উর্দু, ফারসি, চীনা, তুর্কি, রাশিয়ান, হাউসা, বাংলা, সুইডিশ, স্প্যানিশ, সোয়াহিলি, আমহারিক, ইতালিয়ান, পর্তুগিজ, বসনিয়ান, মালায়লাম, ফিলিপিনো ও জার্মান।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) লাখ লাখ হাজি আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন। সেদিন তাদের উদ্দেশে মসজিদে নামিরা থেকে খুতবা দেয়া হবে। এবার হজের খুতবা দেবেন দেশটির সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য শায়খ ড. ইউসুফ বিন মোহাম্মদ বিন সাঈদ।

সোমবার (২৬ জুন) সকাল থেকে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। কেউ পায়ে হেঁটে আবার কেউ বাসে করে মিনায় জড়ো হয়েছেন। মিনা এরই মধ্যে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তাঁবুর শহরে পরিণত হয়েছে।

করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে চলতি বছর রেকর্ড সংখ্যক মুসল্লি পবিত্র হজ পালনের জন্য জড়ো হয়েছেন। এই সংখ্যা ২০ লক্ষাধিক বলে জানিয়েছে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।

রোববার (২৫ জুন) বিকালে হজযাত্রীরা মক্কায় কাবাঘর তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ শুরু করেন। ইহরাম বেঁধে সেলাইবিহীন সাদা কাপড় পরে লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় হজের আনুষ্ঠানিকতা। সোমবার (২৬ জুন) সকাল হজযাত্রীরা রওনা হন মিনার দিকে।

মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে মিনার দূরত্ব পাঁচ কিলোমিটারের মতো। এখানে খোলা আকাশের নিচে ২৫ লাখ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লক্ষাধিক তাঁবু টানানো হয়েছে। এসব তাঁবুতে ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ থাকতে পারবে।

সোমবার সারাদিন ও দিবাগত সারারাত মিনায় অবস্থান করবেন হজযাত্রীরা। এ সময় সেখানে মহান আল্লাহর মেহমানরা ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। এরপর ফজরসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের পর তারা মিনা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ঐতিহাসিক আরাফার ময়দানে যাবেন।

মিনা থেকে আরাফার ময়দানের দূরত্ব সড়কপথে ১৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার। হজযাত্রীদের কেউ পায়ে হেঁটেই এই দীর্ঘপথ পাড়ি দেবেন। আবার কেউ বাসে করেই যাবেন। লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত হবে আরাফাতের ময়দান।