হজ মহান আল্লাহর নির্দেশ এবং একটি ইবাদত। ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম হজ। আরবি হজ শব্দের অর্থ সংকল্প করা বা ইচ্ছা করা। কোরআনুল কারিমে ১০২ বার হজ শব্দটি উল্লেখ রয়েছে। হজ আর্থিক এবং শারীরিক ইবাদত। তাই আল্লাহ তাআলা আর্থিক ও শারীরিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক ব্যক্তিকে পরিপূর্ণভাবে হজ সম্পাদন করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ফরজ হজের উদ্দেশ্য হলো মহান আল্লাহর তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করা।
আল্লাহ তাআলা হজের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘হজের সময় নির্দিষ্ট মাসসমূহ। অতএব এ মাসসমূহে যে নিজের ওপর হজ আরোপ করে নিল, তার জন্য হজে অশ্লীল ও পাপকাজ এবং ঝগড়া-বিবাদ বৈধ নয়। আর তোমরা ভালো কাজের যা কর, আল্লাহ তা জানেন এবং পাথেয় গ্রহণ কর। নিশ্চয় উত্তম পাথেয় তাকওয়া। আর হে বিবেকসম্পন্নগণ, তোমরা আমাকে ভয় কর।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৯৭)
আর নির্ধারিত সময়ে আল্লাহর জন্য নবীজির দেখানো পথে কাবা শরিফ তাওয়ায়, সাফা-মারওয়া সায়ী, আরাফা-মুজদালিফায় অবস্থান, মিনায় কংকর নিক্ষেপসহ কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন করার মতো নির্ধারিত কাজ সম্পাদন করার নাম হজ। কোরআন সুন্নায় হজের গুরুত্ব ও ফজিলত ওঠে এসেছে। তাই এই সময়টাতে বেশি বেশি করে আল্লাহর দোয়ায় থাকতে হয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের।