কয়লা সংকটের কারণে বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয়েছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন কার্যক্রম। ২০ দিন বন্ধ থাকার পর উৎপাদন কার্যক্রম চালু হওয়ায় জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
রোববার (২৫ জুন) তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন শুরুর তথ্য জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী খোরশেদুল আলম।
পরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রেজওয়ান ইকবাল খান জাতীয় গ্রিডে উৎপাদিত ৬৬০ মেগাওয়াট যুক্ত হওয়ার তথ্য গণমাধ্যমকে জানান। তিনি বলেন, আপাতত দুটি ইউনিটের একটি চালু হয়েছে। অপরটিও শিগগিরই চালু হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সকালে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বয়লার চালু করা হয়। বিকেল ৪টার দিকে টারবাইনে কয়লা লোড দেয়া শেষ হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে একটি ইউনিটে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়, যা সরাসরি যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী খোরশেদুল আলম আরও বলেন, বিকেল ৪টা থেকে জাতীয় গ্রিডে যাচ্ছে উৎপাদিত বিদ্যুৎ। ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা ৪১ হাজার মেট্রিক টন কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট চালু করা হয়েছে। তবে প্রয়োজন হলে ঈদের পর দ্বিতীয় ইউনিটও চালু হবে।
তিনি আরও বলেন, আপাতত ৪১ হাজার মেট্রিক টন কয়লা দিয়ে একটি ইউনিট আট দিন চলবে। তবে ৩০ জুনের মধ্যে আরও একটি জাহাজ আসছে। এরপর ধারাবাহিকভাবে আসবে আরও ১৬টি জাহাজ।
১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিটটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় ঢাকা, বরিশাল ও খুলনাসহ সারা দেশের লোডশেডিং আরও কমে আসবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে চলতি বছরের ২৫ মে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। পরে ৫ জুন দ্বিতীয় ইউনিটও বন্ধ হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দিবাগত রাত ৩টায় ইন্দোনেশিয়া থেকে এমভি অ্যাথেনা নামের একটি জাহাজ পায়রা বন্দরে এসে পৌঁছায়। ওইদিন সকাল থেকে শুরু হয় কয়লা খালাস কার্যক্রম। মার্শাল আইল্যান্ডসের পতাকাবাহী এ জাহাজটি ৪১ হাজার ২০৭ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আসে। শনিবার রাতে শেষ হয় কয়লা খালাস কার্যক্রম।