২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:৪০:৪৩ পূর্বাহ্ন


বাইরের হস্তক্ষেপের কাছে মাথানত করবে না বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৬-২০২৩
বাইরের হস্তক্ষেপের কাছে মাথানত করবে না বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী বাইরের হস্তক্ষেপের কাছে মাথানত করবে না বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা একটি স্বাধীন জাতি। যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসাবে বাংলাদেশ কখনোই বাইরের হস্তক্ষেপের কাছে মাথানত করবে না।’ স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রোববার নিজ অফিসে বিশেষ দরবার (সমাবেশ) অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’-এই নীতি অনুসরণ করে আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে চলি। দেশের উন্নয়নে যা যা প্রয়োজন তা করছি। অনেক বাধা ও ষড়যন্ত্র আছে। এগুলো মোকাবিলা করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। কারণ একটি দেশ যখন দ্রুত অগ্রগতি করে, তখন অনেকেই তা সহ্য করতে পারে না। তারা বিভিন্ন ঝামেলা শুরু করে। কিন্তু এগুলো নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা নিয়ে বিশ্বমঞ্চে আমাদের মাথা উঁচু করে চলতে হবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন, এসএসএফ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান। তিনি বাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান সংকলিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭৫টি বাণী সংবলিত ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর উক্তি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৮৬ সালের ১৫ জুন রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা বাহিনী (পিএসএফ) গঠিত হয়। পরে ১৯৯১ সালে দেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের পর বাহিনীর নাম করা হয় বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ)। এই বাহিনীর কাজ হলো রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং অন্য ভিআইপিদের সুরক্ষা দেওয়া।

দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য অনুষ্ঠানে এসএসএফ সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের সঠিক নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা, পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতায় এসএসএফ দিনে দিনে উন্নতি করতে থাকবে। শৃঙ্খলা, আনুগত্য ও পেশাদারিত্বের দিক থেকে একটি আদর্শ নিরাপত্তা বাহিনীতে পরিণত হবে।’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য শান্তিচুক্তি, ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়, সমুদ্র সীমানা নিয়ে বিরোধ মীমাংসা এবং পদ্মা সেতু নির্মাণের পাশাপাশি একই দিনে ১০০টি সেতু এবং ১০০ সড়ক উদ্বোধনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার সরকারের সফল্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলাম। কারণ এ ব্যাপারে আমাদের সরকারের কোনো দুর্বলতা ছিল না।’ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশ সক্ষমতা দেখিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সবার কাছে সম্মান পাচ্ছে।’