শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো গেলো না নিজের শেষকৃত্যের সময় কফিনে টোকা দেয়া ৭৬ বছর বয়সী নারী বেলা মন্টোয়াকে। শুক্রবার (১৬ জুন) ইকুয়েডরের স্থানীয় একটি হাসপাতালে সাত দিন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকার পর তার মৃত্যু হয়। খবর বিবিসির।
ইকুয়েডরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বেলা মন্টোয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, হাসপাতালে আনার এক সপ্তাহের মাথায় বেলা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা গেছেন। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, বেলা মন্টোয়ার চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে ছিলেন। তবে তার কি হয়েছিল এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানানো হয়নি।
স্থানীয় একটি সংবাদপত্রকে বেলার ছেলে গিলবার্ট বারবেরা বলেন, ‘এবার আমার মা সত্যিই মারা গেছেন। আমার জীবন আর আগের মতো থাকবে না।’
এর আগে ৯ জুন ইকুয়েডরের বাবাহোয়ো শহরের একটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বেলাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে স্বজনেরা বেলার ‘মরদেহ’ বাড়িতে নিয়ে যান। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মরদেহ কয়েক ঘণ্টা কফিনে রাখা হয়। তবে কফিনের ঢাকনা খোলা ছিল। সমাধিস্থ করার আগে শোকার্ত স্বজনেরা যখন বেলার কাপড় বদলে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, হঠাৎ তারা দেখেন কফিনে শুয়ে বেলা জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছেন।
এরপর তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। এই ঘটনাটি ঘিরে দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।