২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৯:৫৩:৪০ পূর্বাহ্ন


ভোটে ইভিএম ব্যবহারে বিশেষ নির্দেশনা ইসির
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৬-২০২৩
ভোটে ইভিএম ব্যবহারে বিশেষ নির্দেশনা ইসির ফাইল ফটো


আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন ভোট। অন্যান্য সিটি নির্বাচনের মতো এ দুইটিতেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে। এ লক্ষ্যে বিশেষ পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্রটি জারি করেছে সংস্থাটি।

উপসচিব আতিয়ার রহমান জানান, আগামী ২১ জুন সিলেট ও রাজশাহী সিটি ভোট উপলক্ষে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) কর্মকর্তারা সরেজমিন উপস্থিত থেকে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের সব প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেবেন। এ ছাড়া, ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইভিএম কাস্টমাইজেশনসহ নির্বাচন উপযোগী করে যথাসময়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে হস্তান্তর করবেন।

পরিপত্রে ইসি জানিয়েছে, ইভিএম ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে প্রার্থী এবং ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক প্রচার: ইভিএম ব্যবহার যেহেতু একটি কারিগরি বিষয় এবং নতুন ধরনের ব্যবহার কার্যকারিতা রয়েছে। সে জন্য সব প্রার্থী, তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের মধ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের সুবিধার্থে ইভিএম ব্যবহার পদ্ধতিবিষয়ক নির্দেশিকার প্রয়োজনীয় সংখ্যক কপি প্রেরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ: নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট থেকে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা অর্থাৎ প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের জন্য দুই দিনব্যাপী এবং পোলিং অফিসারদের জন্য এক দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ভোটারদের জন্য ভোটার শিক্ষণ: সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এক দিনব্যাপী ভোটারদের জন্য ভোটার শিক্ষণ কার্যক্রম আয়োজন করতে হবে। আগামী ২১ জুন সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন ভোটকেন্দ্রভিত্তিক ভোটার শিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। নির্বাচনী এলাকায় ভোটার শিক্ষণ কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভোটদানের জন্য দাঁড়ানো লাইনে অথবা ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দির ভিতরে ব্যালট ইউনিটের রেপ্লিকার সাহায্যে ভোটার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

নিরাপত্তা সহকারে ইভিএমের পরিবহন, সংরক্ষণ ও কার্যকারিতা যাচাই করা: ইভিএমগুলো ইলেকট্রনিক ডিভাইস বিধায় মেশিনগুলো সারিবদ্ধভাবে রেখে যথাযথ নিরাপত্তার সঙ্গে পরিবহন করতে হবে। ভোটগ্রহণের আগের দিন অন্যান্য নির্বাচনী মালামালসহ বিভিন্ন প্রিজাইডিং অফিসারকে বুঝিয়ে দিতে হবে। প্রিজাইডিং অফিসাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ অবশ্যই সঠিকতা যাচাই করবেন। কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রিজাইডিং অফিসার রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন। রিটার্নিং অফিসার কন্ট্রোল রুমকে অভিহিত করে ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন অথবা প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

কারিগরি দল গঠন: প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের একজন করে কারিগরি সদস্য সহযোগিতা করবেন। এ জন্য রিটার্নিং অফিসার তাদের প্রয়োজনে লজিস্টিক সাপোর্ট দেবেন। প্রিজাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণের জন্য ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত করবেন।

মোবাইল কারিগরি টিম: নির্বাচন কমিশন থেকে পাঠানো ও মাঠপর্যায়ের আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীর সমন্বয়ে গঠিত মোবাইল কারিগরি টিম সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে অবস্থান করবেন। ভোট গ্রহণের দিন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের কারিগরি সমস্যা আনুষঙ্গিক লজিস্টিক সহায়তা নিশ্চিত করবেন।

ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কার্ডের এবং প্রদত্ত পিন পাসওয়ার্ডের গোপনীয়তা রক্ষা: ইভিএমের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কার্ড এবং মেশিন চালু করার পিন পাসওয়ার্ড প্রিজাইডিং অফিসারকে সরবরাহ করা হবে। যথাযথ নিরাপত্তার সঙ্গে ব্যবহার করে এবং এসব কার্ড এবং পাসওয়ার্ডের যথাযথ গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।

অতিরিক্ত অডিট ও পোলিং কার্ডের ব্যবহার: সুষ্ঠুভাবে সিটি নির্বাচন সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রে ব্যবহৃত অডিট কার্ড ও পোলিং কার্ডের একটি সামগ্রিক বেকাপ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সংরক্ষিত থাকবে।

ইভিএম যাচাই করা: ভোটগ্রহণের আগের দিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নামের বিপরীতে ব্যালট ইউনিটে সঠিকভাবে প্রতীক সন্নিবেশিত আছে কি না তা ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে প্রিজাইডিং অফিসার যাচাই করবেন। যাচাই করে কোনো ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে তা তাৎক্ষণিকভাবে রিটার্নিং অফিসার/সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করে সঠিক ব্যালট ইউনিট বুঝে নিতে।

ডেমো ভোটগ্রহণ: ভোটকেন্দ্রে ব্যবহারের জন্য সর্বদা গৃহীত ইভিএমগুলো ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা নির্বাচনী এজেন্ট ও পোলিং এজেন্টকে ভোটগ্রহণ প্রদর্শন করতে হবে। ডেমো ভোটগ্রহণের সময় ইভিএমগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক সঠিক আছে কি না তা যাচাই-বাছাই করতে হবে।