রাজধানীর গ্রিনরোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালে সব ধরনের অপারেশন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে ড. সংযুক্তা সাহাকে চিকিৎসা কার্যক্রমে যুক্ত না থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. আবু হোসেন মঈনুল আহসানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের পরিদর্শন শেষে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সেন্ট্রাল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ও জরুরি সেবার মান সন্তোষজনক নয়।
এ অবস্থায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত হাসপাতালটির অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। একইসেঙ্গে ভুক্তভোগীর চিকিৎসক ড. সংযুক্তা সাহা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লিখিত অনুমোদন ছাড়া পরবর্তী সময়ে সেন্ট্রাল হাসপাতালে কোনো বিশেষজ্ঞ সেবা দিতে পারবেন না।
এ ছাড়া মাহবুবা রহমান আঁখির পরিবারের কাছ থেকে গৃহীত চিকিৎসা বাবদ সকল খরচ এবং চিকিৎসাজনিত যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করবে। অভিযোগ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্রাদি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে।
পরবর্তীতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় করতে সিদ্ধান্তের আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে বুধবার (১৪ জুন) ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় মোট পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা হয়। মামলার পর দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার দুই চিকিৎসক হলেন ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা।
পরে তাদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। এ সময় দুই চিকিৎসক স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারহা দিবা ছন্দার আদালত চিকিৎসক মুনা এবং ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমির আদালত চিকিৎসক শাহজাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এরপর দুই চিকিৎসকের জামিনের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে একই আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।