২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:৫৮:৪০ অপরাহ্ন


নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে ভূমিকা রাখতে ইইউতে চিঠি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৬-২০২৩
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে ভূমিকা রাখতে ইইউতে চিঠি ছবি-সংগৃহীত


আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, তা নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে চিঠি দিয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্য। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের জন্য ইইউয়ের ভূমিকাও প্রত্যাশা করা হয় চিঠিতে। সোমবার ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেলের কাছে লেখা চিঠির বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে।

দুই পৃষ্ঠার চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা জানাতে চাই এবং আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানাতে চাই।

বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, মিথ্যা মামলার কথা উল্লেখ করে তারা বলেছেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই সরকার গণতান্ত্রিক স্থান সংকুচিত করেছে এবং সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত করা মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ প্রণয়নের পর থেকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাসহ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে।

গুমের বিষয়ে সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার (ওএইচসিএইচআর) মিশেল ব্যাচেলেটের বাংলাদেশ সফরে সরকারকে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট কনভেনশনে স্বাক্ষর করার আহ্বান জানিয়েছেন, সে কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা।

সর্বোপরি তারা ২০২৪ সালের শুরুতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সাধারণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারের সঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপির আলোচনার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। চলমান সংকটের একটি টেকসই ও গণতান্ত্রিক সমাধান খুঁজে বের করতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্পৃক্ত করার ওপর জোর দেয়া হয়েছে চিঠিতে।

শুধু তা–ই নয়, মানবাধিকার এজেন্ডা নিয়ে অবিরাম সংলাপে না থেকে বাস্তব ফলাফল আনতে প্রয়োজনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িতদের ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং জিএসপি প্লাস প্রণোদনার শর্তগুলো বারবার বাংলাদেশকে স্মরণ করিয়ে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্য।

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর শক্তিশালী যুক্তি রয়েছে কারণ বাংলাদেশ বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতায় আমাদের দীর্ঘ সময়ের অংশীদার।

ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করা ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্যরা হচ্ছেন, ইভান স্টেফানেক (ইপিপি, স্লোভাকিয়া), মাইকেলা সোজড্রোভা (ইপিপি, চেক প্রজাতন্ত্র), আন্দ্রে কোভাতচেভ (ইপিপি, বুলগেরিয়া), কারেন মেলচিওর (রিনিউ, ডেনমার্ক), জাভিয়ের নার্ট (রিনিউ, স্পেন) এবং হেইডি হাউটালা (গ্রিনস/ইএফএ, ফিনল্যান্ড)।