হলিউডের কোনও রোমহর্ষক অ্যাডভেঞ্চারের থেকে কোনও অংশে কম নয়। ৪০ দিন অ্যামাজনের জঙ্গলে কাটিয়ে বাড়ি ফিরেছে চার শিশু। তার মধ্যে ১ বছরের একটি শিশুও রয়েছে। রোমহর্ষক এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা বিশ্বে।
কম্বোডিয়ার অ্যামাজনের জঙ্গলে বিমান দুর্ঘটনার পর বেঁচে গিয়েছিল চার শিশু।
তার মধ্যে সবচেয়ে বড় যে তার বয়স ১৩ বছর। তারপরে ৯ বছর। তারপরে ৪ বছর এবং এবং সবচেয়ে ছোট শিশুটির বয়স ছিল ১ বছর। বিমানটি জঙ্গলে ভেঙে পড়ার পর অদ্ভুত ভাবে বেঁচে যায় চার শিশু। দুর্ঘটনায় তাঁদের মা এবং আরও ২ জন মারা যায়। স্নিফার ডগের সাহায্যে তাদের দেহ উদ্ধার করেছিলেন উদ্ধারকারীরা।
কিন্তু শিশুদের কোনও খোঁজ তারা পায়নি। এমনকি তাদের দেহও পাওয়া যায়নি। প্রায় ৪০ দিন পর যখন চার শিশুকে উদ্ধার করা হয় তখন তাদের শরীর জীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তাদের উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে আর্মি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বগোটায় সেনা হাসপাতালে চিকিত্সা চলছে তাদের। সেখানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট নিজে গিয়ে শিশুদের চিকিত্সা দেখে এসেছেন।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই চার শিশু কীভাবে ৪০ দিন জঙ্গলের মধ্যে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখল। গত ১ মে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। সেসময় কম্বোডিয়ার অ্যামাজনের জঙ্গলে বিমানটি ভেঙে পড়ে। তাদের মা এবং পাইলট মারা গেলেও চার শিশু কোনও ভাবে েবঁচে যায়। কোনও সাধারণ জায়গা নয় একেবারে অ্যামাজনের জঙ্গলে ঘটেছিল বিমান দুর্ঘটনা।
জঙ্গলে সাপ, কুমীর থেকে শুরু করে বিষাক্ত পোকামাকড় কী নেই। এমনকী চিতাবাঘ, বাঘের মত জন্তুরও অভাব নেই।
সেই প্রতিকূলতার মধ্যে কীভাবে নিজেদের সুরক্ষিত রাখল তারা। তার মধ্যে ১ বছরের এক শিশুও ছিল। এই নিয়ে রীতিমত গবেষণা শুরু করেছে বিশেষজ্ঞরা। গবেষকরা জানিয়েছেন তাঁদের মধ্যে যে শিশু সবচেয়ে বড় সেহয়তো জানতো কোনটা জঙ্গলে খাওয়া উচিত আর কোনটা খাওয়া উচিত নয়। সেই মতই নিজের ভাইবোনেদের পরিচালনা করেছিল সে।
সারাদিন ফল খেয়েই কাটাত তারা। এমনকী ১ বছর বয়সী শিশুটিকেও ফল খাইয়ে রেখেছিল তারা। সেই সঙ্গে পোকামাকড় বা জঙ্গলের বিপদ থেকেই সন্তর্পণে নিজেরে এবং নিজের ভাইবোনেদের বাঁচিয়েছিল ১৩ বছরের শিশুটি। তাঁদের সন্ধানে জঙ্গলে রীতিমত চিরুণি তল্লাশি শুরু করেছিল সেনা। কোন দিকে শিশুরা যেতে পারে তা আঁচ করতে পায়ের ছাপ, ডায়পার, অর্ধেক খাওয়া ফল দেখে চিহ্নিত করেছিল সেনা।