রাহুল গান্ধী মনে করেন দেশে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের বিরুদ্ধে চোরা স্রোত বইছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বর্তমান সরকারের পতন অনিবার্য।
রাহুলের আরও দাবি, কংগ্রেস সহ বিরোধীরা অবাক করা ফল করবে পরের ভোটে।
আমেরিকা সফরে রাহুল এখন রয়েছেন ওয়াশিংটনে। সেখানে ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
রাহুল বিরোধী ঐক্য নিয়েও মুখ খোলেন সেখানে। প্রাক্তন কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের জোট গড়ার প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। খুব ভাল সাড়া মিলছে বিজেপি বিরোধী দলগুলির কাছ থেকে। প্রসঙ্গত, এমাসের ১২ তারিখ পাটনায় বিরোধী দলের সমাবেশ ডেকেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। রাহুল বিরোধী ঐক্য নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও দলীয় সূত্রের খবর পাটনার বিরোধী সমাবেশকে কংগ্রেস বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না। কারণ তারা দিল্লিতে সমাবেশ করার পক্ষপাতী ছিল। তাছাড়া পাটনার বৈঠকের আয়োজক নীতীশ কুমার হলেও রাশ অনেকটাই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাতে। কংগ্রেসের এটা পছন্দ নয়। এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বা রাহুলের মতো নেতারা নীতীশের ডাকা বৈঠকে যাবেন না। অন্য কোনও নেতাকে পাঠানো হবে। তাৎপর্যপূ্র্ণ হল কংগ্রেসের ঘরের লোক ডিএমকে নেতা তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনও পাটনার সভায় যাচ্ছেন না।
ওয়াশিংটনের সাংবাদিক বৈঠকেও ভারতে গণতন্ত্র বিপন্নতার প্রসঙ্গ ওঠে। রাহুল পুরনো কথাই ফের বললেও সেখানে জোরালো ভাবে উল্লেখ করেন, তিনি বিদেশে সাহায্য চাইতে আসেননি। এসেছেন মত বিনিময় করতে।
প্রসঙ্গত, মাস তিন আগে লন্ডন সফরে গণতন্ত্র বিপন্নতার কথা বলেই বিজেপির তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল কংগ্রেস নেতাকে। গেরুয়া শিবির অভিযোগ করে, রাহুল বিদেশে গিয়ে দেশের পরিস্থিতির নিন্দা করে তা থেকে নিস্তার পেতে বিদেশের সাহায্য চেয়েছেন। এটা দেশ বিরোধী কাজ। ওয়াশিংটনের সভায় দেখা গেল কংগ্রেস নেতা বাড়তি সতর্ক।
তাঁর ঠাকুমা ও বাবা সন্ত্রাসবাদীদের হাতে খুন হয়েছেন। এক সাংবাদিক রাহুলকে প্রশ্ন করেন, রাজনীতি করতে আপনার ভয় করে না? জবাবে রাহুল বলেন, না, ভয় পাওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। ঠাকুমা এবং বাবার কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছি, ভয় পেয়ে পিছিয়ে গেলে চলবে না।