২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:৩১:৩০ অপরাহ্ন


এবার দেউলিয়ার পথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র !
সুমাইয়া তাবাস্সুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৬-২০২৩
এবার দেউলিয়ার পথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ! এবার দেউলিয়ার পথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র !


বৃহস্পতিবারই শেষ হচ্ছে ডেডলাইন! রাত ১২টার আগে বিলের টাকা মেটাতে না পারলে দেউলিয়া হয়ে যাবে আমেরিকা! আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিশ্বজুড়ে বাড়ছে চরম আর্থিক সংকটের উদ্বেগ। নয়াদিল্লির কপালেও চিন্তার ভাঁজ।

চলতি বছরের মে মাসেই এই নিয়ে সতর্ক করেন মার্কিন কোষাধ্যক্ষ সচিব জেনেট এল ইয়েলেন। জুনের পয়লা তারিখের মধ্যে বিল মেটাতে না পারলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করবে বলে জানিয়ে দেন তিনি।

সম্প্রতি, ৩ ট্রিলিয়ান মার্কিন ডলারের অর্থনীতি স্পর্শ করেছে ভারত। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ২৩ ট্রিলিয়ানের। যা ভারতের থেকে প্রায় আট গুণ বেশি।

অর্থনীতির বিচারে বিশ্বের এক নম্বর দেশ হওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে দেউলিয়া হতে বসেছে আমেরিকা? বিশেষজ্ঞদের দাবি, আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে ওয়াশিংটন।

আসলে বাজেট ঘাটতি নিয়েই ধীরে ধীরে কলেবরে বেড়ে উঠেছে মার্কিন অর্থনীতি। যখনই টাকার দরকার পড়েছে, তখনই ঋণ নিয়ে তা পূরণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টরা। সেই ঋণের বোঝাই বাড়তে বাড়তে আমেরিকাকে খাদের কিনারায় নিয়ে এসেছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

মার্কিন আইন অনুযায়ী, সরকার চালানোর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ঋণ নেওয়া যায়। অর্থনীতির পরিভাষায় একে বলা হয় ডেট সিলিং। এর পর আরও ঋণ নিতে গেলে আমেরিকার সংসদ তথা মার্কিন কংগ্রেসের অনুমতি নিতে হয়।

নথি বলছে, ১৯৬০ থেকে ৭৮ বার এই ঋণের উর্ধ্বসীমা বাড়িয়েছে মার্কিন কংগ্রেস। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ওমাবার জামানায় সবচেয়ে বেশি ঋণ নেওয়া হয়েছিল। ওই সময় ৭.৬ ট্রিলিয়ান টাকা ঋণ নেয় মার্কিন সরকার। ট্রাম্পের আমলে এই পরিমাণ সামান্য কমে দাঁড়ায় ৬.৭ ট্রিলিয়ান। আর জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার প্রথম বছরেই ঋণ নেন ২.৫ ট্রিলিয়ান ডলার।

চলতি বছরের জানুয়ারিতেই মার্কিন সরকারের ঋণ পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩১ ট্রিলিয়ান ডলার। আমেরিকার কোষাধ্যক্ষ সচিবের দাবি, এখন এই ঋণ বা বিল মেটানো না গেলে অর্থনীতি ভেঙে পড়তে পারে। এরই ডেডলাইন পয়লা জুন রাত ১২টা পর্যন্ত রাখা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, আমেরিকা দেউলিয়া হয়ে গেলে বিশ্ব অর্থনীতিতে তার বড় প্রভাব পড়বে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ঋণ নিয়েছে আমেরিকা। সেই তালিকায় রয়েছে ভারতও। আমেরিকা দেউলিয়া হলে এদেশের ২৩২ বিলিয়ন ডলার ফেরত পাওয়ায় আশা শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

যদিও সেই সম্ভাবনা আপাতত নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ বিশ্বের ৮০ শতাংশ ব্যবসা হয় মার্কিন ডলারে। তাছাড়া ইচ্ছে মতো টাকা ছাপানোর অধিকার রয়েছে আমেরিকার। ফলে ঋণ মেটাতে হোয়াইট হাউসের খুব একটা সমস্যা বলে না বলেই মনে করা হচ্ছে।