সপ্তাহান্তে অর্থাৎ শনি ও রবিবার ইউক্রেনের উপর এখনও পর্যন্ত সব চেয়ে ধ্বংসাত্মক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া, তবে সেই আক্রমণের মোকাবিলা হয়েছে যথাযথ ভাবেই— সমাজমাধ্যমে এমনটাই দাবি করা হয়েছে ইউক্রেনীয় বায়ু সেনার তরফে। তাদের দাবি, হামলার জন্য বিস্ফোরক-সহ মোট ৫৪টি ড্রোন পাঠিয়েছিল রাশিয়া। তার মধ্যে ৪০টিই রাজধানী কিভ লক্ষ্য করে। ইউক্রেনীয় সেনার তৎপরতায় বেশির ভাগ ড্রোন ধ্বংস করা গেলেও শহরবাসীর প্রাণহানি রোখা যায়নি। সেনা সূত্রে খবর, প্রাণ হারিয়েছেন দু’জন এবং গুরুতর জখম হয়েছেন অন্তত তিন জন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে কিভ-সহ বিভিন্ন শহরের নানা অংশ।
সেনা জানিয়েছে, এই হামলার ফলে কমপক্ষে পাঁচ ঘণ্টা আকাশহানার জরুরি অবস্থা জারি রাখতে হয়েছিল ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে। শহরবাসীকে বলা হয়েছিল ঘর থেকে না বেরোতে। কিভের গোলোসিভস্কি জেলায় একটি সাত তলা বাড়ির উপর ড্রোন ভেঙে পড়ায় প্রাণ হারিয়েছে এক জন। সোলোমিয়ানস্কি অঞ্চল একটি পেট্রল পাম্পের কাছে প্রাণ গিয়েছে ৪১ বছরের এক ব্যক্তির। কিভেরই একটি এলাকায় প্রায় ৩৩০০ ফুট উঁচু লেলিহান আগুনে জখম হয়েছেন এক ব্যক্তি।প্রশাসন সূত্রে খবর, সপ্তাহান্তের আক্রমণটি রাশিয়ার চতুর্দশতম ড্রোন হামলা। রবিবার ‘কিভ ডে’ উপলক্ষে বিশেষ উৎসব হওয়ার কথা ছিল, কিভের মেয়র সেই প্রসঙ্গেই ব্যঙ্গ করে বলেন, “রাশিয়া উৎসবের শুভেচ্ছা জানাতে ড্রোন পাঠিয়েছে।”
এ দিকে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করার প্রসঙ্গে পশ্চিমী দেশগুলিকে এক হাত নিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সেরগেই লাভরভ। আমেরিকা ও ইউক্রেনের মধ্যে এফ-১৬ ফাইটার জেট বিমান চুক্তি নিয়ে তাঁর দাবি, পশ্চিমের দেশগুলির নাক গলানোর ফলেই অবস্থা আরওখারাপ হচ্ছে। এ ভাবে অস্ত্র সরবরাহ করে যুদ্ধ জিইয়ে রাখা আসলে আগুন নিয়ে খেলা। সবই রাশিয়ারে দুর্বল করে দেওয়ার চক্রান্ত।