নবিজী বলেছেন, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় স্থান হলো মসজিদ আর নিকৃষ্ট স্থান হলো বাজার। মসজিদে নামাজ পড়ার সওয়াব ও মর্যাদা অনেক বেশি। বুখারির বর্ণনায় এসেছে- যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় (৫ ওয়াক্তে) মসজিদে যাতায়াত করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের মেহমানদারী প্রস্তুত রাখেন মর্মে ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বনবি। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে নামাজ পড়ার অনেক ফজিলত ও মর্যাদার কথা ঘোষণা করেছেন। কী সেসব ফজিলত ও মর্যাদা?
১. তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি নেকি পান ওই ব্যক্তি যিনি সবচেয়ে দূর থেকে মসজিদে আসেন এবং ওই ব্যক্তি বেশি পুরস্কৃত হন, যিনি আগে এসে (নামাজের) অপেক্ষায় থাকেন। এরপর ইমামের সঙ্গে নামাজ পড়েন।’ (বুখারি ও মুসলিম, মিশকাত) [ মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৬৯৯।]
২. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘প্রথম কাতার হলো ফেরেশতাদের কাতারের ন্যায়। যদি তোমরা জানতে এর ফজিলত কত বেশি, তবে তোমরা এখানে আসার জন্য অতি ব্যস্ত হয়ে উঠতে।’ (আবু দাউদ, নাসাঈ, মিশকাত)
৩. নবিজী আরও বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন যে ৭ শ্রেণির মানুষ আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবে, তাদের এক শ্রেণি হলো ওইসব ব্যক্তি- যাদের অন্তর মসজিদের সাথে লটকানো থাকে। যখনই বের হয়, পুনরায় ফিরে আসে।’ (বুখারি ও মুসলিম, মিশকাত)
৪. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, অন্যত্র নামাজ পড়ার চেয়ে আমার এই মসজিদে নামাজ পড়ায় এক হাজার গুণ উত্তম এবং মাসজিদে হারামে নামাজ পড়া এক লাখ গুণ উত্তম।’ (বুখারি ও মুসলিম, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ, মিশকাত)
অন্য এক হাদিসে এ মর্মে ঘোষণা করা হয়েছে যে, এ নামাজগুলো যদি জুমা মসজিদে আদায় করা হয় তবে তার সওয়াব হবে ৫শ’ গুণ বেশি।’ (ইবনে মাজাহ, মিশকাত)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ঘরে কিংবা অন্য কোথাও নামাজ পড়ার চেয়ে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া। কারণ মসজিদে নামাজ পড়ার গুরুত্ব ফজিলত ও মর্যাদা অনেক বেশি। আর মসজিদে গেলে জামাতে নামাজ পড়ার সুযোগ তৈরি হয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। মসজিদে জামাত প্রতিষ্ঠা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
রাজশাহীর সময় / এম আর