দিল্লিতে কুস্তিগিরদের পুলিশি হেনস্থা, আটকের ঘটনার রেশ এসে পড়ল কলকাতায়। রবিবারের ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে এসইউসিআইয়ের I পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে সোমবার রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন বাম নেতা-কর্মীরা। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় শহরের প্রাণকেন্দ্রে।
রবিবার যন্তর মন্তর থেকে সংসদ ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল কুস্তিগিররা। যা কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাট, বজরং পুনিয়াদের। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ছবি সামনে আসে। পদকজয়ী ক্রীড়াবিদদের রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগিরদের ওপর মারধর করার অভিযোগও ওঠে। বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম গোটা দেশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কাঠগড়ায় তুলেছে মোদী সরকারকে। বাম সমর্থিত সংগঠন এসইউসিআই দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে।
সোমবার দুপুরে সেইমতোই রাজভবনের সামনে জড়ো হন এসইউসিআইয়ের রাজ্য শাখার কর্মীরা। পুলিশ আন্দোলনকারীদের বাধা দিলেই বচসা বাঁধে। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ রাজভবনের সামনে থেকে সরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীদের।
প্রসঙ্গত, কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ চরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে চলতি বছরের গোড়া থেকেই আন্দোলন শুরু করেছেন কুস্তিগিররা। যন্তর মন্তরের সামনে ধর্নায় বসেন সাক্ষী মালিকরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে ব্রিজভূষণকে। দিল্লি পুলিশ কুস্তিগিরদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। যদিও এখনও ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে এপ্রিল মাস থেকে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ান কুস্তিগিররা।