প্রথম ছবি ‘বুম’ বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। এরপর সবাই যখন মনে করেছিল তাঁর বলিউড যাত্রার এখানেই ইতি, সেসময় ক্যাটরিনার পুনর্জন্ম হয়েছিল সালামন খানের হাত ধরে। ২০০৫ সালে ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিউ কিয়া’ ছবি দিয়েই বি টাউনে পায়ের তলার জমি শক্ত করেন অভিনেত্রী। ওইসময় ইন্ডাস্ট্রিতে জল্পনা ছড়ায় ঐশ্বর্যর সঙ্গে বিচ্ছেদের দুঃখ ভুলে সালমান নতুন করে মন দিয়েছেন ক্যাটরিনাকে। শোনা যায়, একে অপরের প্রেমে পাগল ছিলেন দু’জনেই। কিন্তু তারপর কী এমন হয়েছিল যে, সালমানের নাম শুনে সাংবাদিকের উপর রেগে গিয়েছিলেন ক্যাটরিনা?
সদ্য ভাইরাল হয়েছে সেই পুরনো ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ক্যাটরিনাকে প্রশ্ন করা হয় তাঁর ও সালমানের সম্পর্ক নিয়ে। তৎক্ষণাৎ ক্যাটরিনার মুখের হাসি মিলিয়ে যায়।
বরাবরের শান্ত স্বভাবের অভিনেত্রী মেজাজ হারিয়ে বসেন। রেগে গিয়ে সেই সাংবাদিকের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনাদের একটা বিষয় বোঝা উচিত, যখন কোনও মানুষ আপনার সামনে দাঁড়িয়ে আছে, তাঁকে মানুষ হিসেবে সম্মান জানানো উচিত। নিজের সীমা বোঝা প্রয়োজন।”
এই কথা বলার পরে আর সেখানে দাঁড়াননি ক্যাটরিনা। সঙ্গে সঙ্গে ওই সাংবাদিক সম্মেলন ছেড়ে বেরিয়ে যান। যদিও এরপর ব্যক্তিগত পর্যায়ে আর কোনও যোগাযোগ না থাকলেও প্রফেশনাল সম্পর্ক বজায় রেখেছেন দু’জনেই। প্রেম ভাঙার পর ‘এক থা টাইগার’, ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’র মতো দু’টি সুপারহিট ছবি রয়েছে এই জুটির ঝুলিতে। কিন্তু সেসময় তাহলে সালমানের নাম শুনে কেন রেগে গিয়েছিলেন ক্যাটরিনা?
জানা গেছে, সেসময় এক ব্রাজিলিয়ান মডেলের সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জন ছিল সালমানের। শোনা যায়, এই কারণেই সালমানের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করেছিলেন ক্যাটরিনা নিজেই। এরপর অবশ্য রণবীর কাপুরের সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ক্যাটরিনা। তবে সেই সম্পর্কও টেঁকেনি। বর্তমানে ভিকি কৌশলের সঙ্গে বিয়ে করে জমিয়ে সংসার করছেন অভিনেত্রী। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজস্থানে গাঁটছড়া বাঁধেন তাঁরা।