২৯ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০১:৫৭:৪৪ পূর্বাহ্ন


করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর ‘ডিজিজ এক্স’, আতঙ্কে হু !
সুমাইয়া তাবাস্সুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৫-২০২৩
করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর ‘ডিজিজ এক্স’, আতঙ্কে হু ! করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর ‘ডিজিজ এক্স’, আতঙ্কে হু !


করোনার থেকেও মারাত্মক ভাইরাস অতি মহামারী  ঘটাতে পারে বিশ্বে, এমন সতর্কবার্তাই দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। বুধবার হু-প্রধান টেড্রস অ্যাডহানাম গেব্রেইসাস সতর্ক করে বলেছেন, আরও ভয়ঙ্কর কোনও ভাইরাসের আগমন হতে পারে, তার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে বিশ্বকে। হু-র (WHO) সতর্কবার্তার পরেই ডিজিজ এক্স (Disease X) নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে। 

ডিজিজ এক্স নিয়ে বিজ্ঞানীমহল দ্বিধাবিভক্ত। নানা রকম যুক্তি দেওয়া হচ্ছে। নানা রকম মত। ১৯৭৬ সালে প্রথম ইবোলা ভাইরাস চিহ্নিত করেছিলেন যে বিজ্ঞানী সেই জিন-জ্যাকাস মুয়েম্বি এই ডিজিজ-এক্সের কথা সামনে এনেছেন। বিজ্ঞানী বলেছেন, করোনার থেকেও মারাত্মক সংক্রামক ভাইরাল স্ট্রেন ডিজিজ-এক্স। এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে আরও এক মহামারীর মুখোমুখি হতে হবে বিশ্বকে।

বিজ্ঞানীদের অনুমান, ডিজিজ এক্স ইবোলার মতোই ভাইরাল স্ট্রেন হতে পারে। মনে করা হচ্ছে, ইবোলা ভাইরাসের জিনের গঠন বদলে অর্থাৎ জেনেটিক মিউটেশনের কারণে এই নতুন ধরনের ভাইরাল স্ট্রেনের জন্ম হয়েছে। যদিও কী ধরনের ভাইরাস বা কোন পর্যায় অবধি সংক্রমণ ছড়াতে পারে তার বিস্তারিত তথ্য এখনও মেলেনি। ‘এক্স’ মানে হল অজানা কিছু। যেমন, অঙ্কের ফর্মুলায় এক্স অর্থে কোনও একটা অজানা মান ধরে নেওয়া হয়। যেহেতু এই ভাইরাসের ব্যাপারে এখনও তেমন কিছুই জানা নেই, তাই একে ডিজিজ-এক্স বলেই চিহ্নিত করছেন বিজ্ঞানীরা।

হু বলছে, পশুদের থেকে যে সমস্ত ভাইরাসনিত রোগের সংক্রমণ হয়েছে যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা, রেবিস, ব্রুসেলোসিস, লাইম ডিজিজ ইত্যাদি, ডিজিজ-এক্সও তেমনই হতে পারে। ২০১৮ সালে হু-র রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্লু-প্রিন্টে কঙ্গো হেমোরজিক ফিভার, ইবোলা ভাইরাস, মারবার্গ ভাইরাস, লাসা জ্বর, মিডস-ইস্ট রেসপিরেটারি সিন্ড্রোম তথা মার্স, সার্স, নিপা ভাইরাসের সঙ্গে ডিজিজ-এক্সের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছিল।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, ডিজিজ-এক্স কোনও নতুন ভাইরাস নয়। করোনাভাইরাসের মতোই চেনা পরিচিত কোনও ভাইরাস পরিবারেরই সংক্রামক স্ট্রেন জিনের গঠন বদলে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। জটিল রোগও ছড়াতে পারে। হতেই পারে, নতুন কোনও রোগ নয়, ভাইরাস সংক্রমণে যে ধরনের জটিল রোগ হয়ে থাকে অর্থাৎ বিজ্ঞানীদের খাতায় যে সমস্ত রোগের তালিকা আছে তারই কোনও একটা মহামারী হয়ে ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বে। অতএব সবটাই এখনও অজানা।