ব্রিটিশ হাইকমিশন জানায়, যুক্তরাজ্যের নতুন এ সহায়তা স্বাস্থ্যসেবা, আশ্রয় এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্বাগতিক সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় ব্যবহার করা হবে। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এ অর্থায়নের বাস্তবায়ন করবে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয়দের জন্য আরও ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন পাউন্ড মানবিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
ঢাকার যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
ব্রিটিশ হাইকমিশন জানায়, যুক্তরাজ্যের নতুন এ সহায়তা স্বাস্থ্যসেবা, আশ্রয় এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্বাগতিক সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় ব্যবহার করা হবে। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এ অর্থায়নের বাস্তবায়ন করবে।
বাংলাদেশে ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল ঘূর্ণিঝড় মোখার পর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে অতিরিক্ত এ অর্থায়নের ঘোষণা দেন।
ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল বলেন, ‘যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা এবং স্বাগতিক সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে। কারণ যুক্তরাজ্য ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব থেকে পুনরুদ্ধার করতে চায়। আমি ২. ৩ মিলিয়ন পাউন্ডের নতুন এ অর্থায়ন ঘোষণা করতে পেরে গর্বিত। যুক্তরাজ্য এ সংকটের একটি টেকসই সমাধান খুঁজতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সহায়তা প্রদান করছে।’
আইওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান আবদুসাত্তর এসয়েভ বলেন, এ সহায়তা এমন একটি সংকটময় সময়ে এসেছে যখন রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয়দের সাম্প্রতিক দুর্যোগের কারণে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। বিশেষ করে তারা অগ্নিকাণ্ড এবং ঘূর্ণিঝড় মোখার পরে ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্বাগতিক সম্প্রদায়ের জন্য ৩৫২ মিলিয়ন পাউন্ড মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে।