এই প্রথম মহাকাশে পা রাখতে চলেছেন সৌদি আরবের মহিলা অভিযাত্রী। একটি বেসরকারি অভিযানে মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছেন দুই সৌদি নাগরিক। তাঁদের এক জন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ, দ্বিতীয় জন যুদ্ধবিমানের চালক। বেসরকারি মহাকাশ অভিযানটির উদ্যোক্তা ‘অ্যাক্সিয়ম স্পেস’। আজ ফ্লরিডার কেপ কানাভেরাল উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকা আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (আইএসএস)-এর উদ্দেশে রওনা দেবে তাঁদের মহাকাশযান।
রায়ানা বারনাউয়ি স্তন ক্যানসার ও স্টেম কোষ বিশেষজ্ঞ। তাঁর সঙ্গে মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছেন আর এক সৌদি অভিযাত্রী আলি আল-কারনি। সব ঠিক থাকলে ‘অ্যাক্সিয়ম মিশন ২’-এর অভিযাত্রীরা স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে চেপে কেপ কানাভেরালের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে আজ, রবিবার, স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিটে মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দেবেন। এই অভিযানে অংশ নিচ্ছেন চার জন অভিযাত্রী। আইএসএস-এ তাঁরা ২০টি গবেষণা করবেন। এঁদের মধ্যে এক জনের কাজ মাধ্যাকর্ষণহীন স্থানে স্টেম কোষের ব্যবহার পর্যবেক্ষণ। আইএসএস-এ এই মুহূর্তে ৭ জন মহাকাশচারী রয়েছেন। তিন জন রাশিয়ান, তিন জন আমেরিকান। আর এক জন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির, নাম সুলতান আল-নেয়াদি। তিনিই প্রথম আরব, যিনি মহাকাশে হেঁটেছেন (স্পেসওয়াক)। গত মাসে এই নজির গড়েছেন তিনি।
‘অ্যাক্সিয়ম মিশন ২’-এর অভিযাত্রী দলে রায়ানা ও আলির সঙ্গে থাকছেন নাসার প্রাক্তন মহাকাশচারী পেগি হুইটসন। আইএসএস-এ এটি তাঁর চতুর্থ সফর। চতুর্থ জন টেনেসির শিল্পপতি জন শফনার। তিনি পাইলট হিসেবে কাজ করবেন। কাল, সোমবার ১টা ৩০ মিনিটে তাঁদের আইএসএসে পৌঁছনোর কথা। ১০ দিন তাঁরা আইএসএস-এ কাটাবেন।
রায়ানা সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘‘সৌদি আরবের প্রথম মহিলা মহাকাশচারী হতে চলেছি... দেশের প্রতিনিধিত্ব করার যে সম্মান ও আনন্দ, তাতে আমি খুবই খুশি।’’ রায়ানা জানিয়েছেন, আইএসএস-এ তিনি গবেষণার কিছু কাজ করবেন। সেটা নিয়ে খুবই উত্তেজিত। কিন্তু তার থেকেও বেশি উন্মাদনা কাজ করছে বাচ্চাদের কথা ভেবে। তিনি বলেন, ‘‘ছোটরা যখন দেখবে, তাদের অঞ্চলের এক জন মহাকাশে গিয়েছে, তারা কী ভীষণ খুশি হবে। ওদের মুখগুলো কল্পনা করে দারুণ লাগছে।’’
সৌদি আরবের এটি প্রথম মহাকাশ অভিযান নয়। ১৯৮৫ সালে প্রথম মহাকাশে যান সুলতান বিন সলমন বিন আব্দুলআজ়িজ়। তিনিও ছিলেন বায়ুসেনার পাইলট। আমেরিকার একটি মহাকাশ অভিযানে অংশ নেন তিনি। এই প্রথম কোনও সৌদি মহিলা মহাকাশ পাড়ি দেবেন।