অত্যন্ত সুকৌশলে আড়ালে নিউ ইয়র্ক পুলিশও ঘুষ খাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের সাবেক এক কর্মকর্তা তার বিভাগীয় দুই সহকর্মীর সাথে মিলে ঘুষ লেনদেন এবং অবৈধ কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ার ঘটনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চলছে তোলপাড়। মাইকেল পেরী নামের ৩৪ বছর বয়সী সাবেক এই অফিসার চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করার পর একই থানা এলাকার (প্রিসিঙ্কট) কাজ করা তার দুই সাবেক সহকর্মীকে নিয়ে দূর্নীতিতে নামেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলা সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।
মাইকেল পেরী শুরু করেন গাড়ি টো করার ব্যবসা। কোথাও গাড়ি দুর্ঘটনা হলে, অবৈধভাবে পার্ক করা হলে পুলিশ এসব টো কোম্পানি ব্যবহার করে থাকে। মাইকেল পেরীর সাথে যোগ দেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। কোন গাড়ি টো করতে হলে তারা গাড়ি টেনে নিয়ে যাওয়া বা টো ব্যবসা পেরীর কোম্পানিকে কল দিতেন। যা সম্পূর্ন বেআইনি। নিয়ম হচ্ছে পুলিশ টহলের সাথে কম্পিউটার জেনারেট করা দুইটির যে কোন একটি টো কোম্পানিকে কল দেয়ার। মাইকেল পেরীর সাথে এ অপকর্ম জড়িত ছিলেন জেমস ডেভনিরো এবং জিয়ানকার্লো ওসমা নামের দুইজন। নিউ ইয়র্ক পুলিশের এ ত্রিরত্ন কোন নিয়মের বালাই না করে নিজস্ব ব্যবসার জন্য অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন।
মাইকেল পেরীর কাছ থেকে নিয়মিত অর্থ গ্রহণ গ্রহণ করতেন অপর দুইজন। দীর্ঘ বিভাগীয় তদন্তে এসব বেরিয়ে আসার পর তিনজনকেই বিচারের সম্মুখীন করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড ও জরিমানার দণ্ড দেয়া হয়েছে।
নিউইয়র্কের পুলিশ কমিশনার কিচেন্ট সিয়েল বলেছেন, অভ্যন্তরীণ তদন্তের মাধ্যমে এসব অপরাধীদের সঠিকভাবে সনাক্ত করা হয়েছে। নিউইয়র্ক পুলিশে জনআস্থা ভঙ্গের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকর বলে পুলিশ কমিশনার মন্তব্য করেছেন।