রবিবার সকাল থেকেই মোখার তাণ্ডবে একপ্রকার লন্ডভন্ড বাংলাদেশ, মায়ানমারের বহু এলাকা। তবে বাংলাদেশের প্রশাসন আগে থেকেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ায় বাংলাদেশের সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতি মায়ানমারের তুলনায় অনেক কম বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও মোখার প্রভাবে ঝড় বৃষ্টি মঙ্গলবার পর্যন্ত চলেছে গোটা বাংলাদেশ জুড়েই।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী মায়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১ জন। মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সিতওয়া শহরে সবচেয়ে বড় আঘাত হেনেছে মোখা। এই মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। প্রায় ১৯৫ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসা মোখার তাণ্ডবে ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত মায়ানমারের জনজীবন।
অন্যদিকে বাংলাদেশে ঝড়ের আগেই কক্সবাজার এলাকার প্রায় ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নিরাপদ আশ্রয়ে। তবুও ঝড়ের তাণ্ডবে আহত হয়েছেন অন্তত ১১ জন। বাংলাদেশের স্কুল, কলেজে অনির্দিষ্ট কালের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে ঝড়ের কারণে। পাশাপাশি স্থগিত রাখা হয়েছে বাংলাদেশের একাধিক পরীক্ষাও।
প্রসঙ্গত, মোখার প্রভাবে মঙ্গলবারও ঢাকায় প্রবল ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ৭৮ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী ঝড় এবং বৃষ্টির কথা জানা যাচ্ছে। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও রংপুর ও সাতক্ষীরাতেও প্রবল বেগে আছড়ে পড়েছে কালবৈশাখী। অর্থাৎ মোখার লেজের ঝাপটায় চলতি সপ্তাহে আরও কিছুদিন এমন ঝড়বৃষ্টি চলবে বলেই মনে করছে আবহাওয়া দফতর।