বিমানটি ধ্বংস হয়েছিল দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে। কারো বেঁচে থাকার আশা ছিল খুবই ক্ষীণ বা ছিলই না। তবুও অলৌকিকভাবে গভীর জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চার শিশুকে। এদের মধ্যে একজনের বয়স মাত্র ১১ মাস। চারটি শিশুই কলম্বিয়ার একটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের।
স্থানীয় সময় বুধবার রাষ্ট্রপতি গুস্তাভো পেট্রো বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, বিমান দুর্ঘটনার এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পর দেশটির দক্ষিণে লম্বিয়ার একটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের চারটি শিশুকে জীবিত পাওয়া গেছে।
যে বিমানটিতে তারা ভ্রমণ করছিল সেটি ঘন জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয়েছিল। সেসনা ২০৬ মডেলের এই বিমানটি গত ১ মে কলম্বিয়ার আমাজোনাস প্রদেশের আরাকুয়ারা থেকে সাতজন আরোহী নিয়ে গুয়াভিয়ার প্রদেশের সান জোসে দেল গুয়াভিয়ার শহরে যাচ্ছিল। মাঝ আকাশে থাকা অবস্থায় বিমানটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। বিপদ বুঝতে পেরে বিমানটি থেকে থেকে মে-ডে সতর্কতাও দেওয়া হয়েছিল। পরে বিমানটি ৭ আরোহীসহ গভীর জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয়।
এক সপ্তাহের বেশি সময় পর কলম্বিয়ার ক্যাকুয়েটা প্রদেশের ঘন জঙ্গলে সেনাবাহিনী, দমকলকর্মী এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্যরা শিশুদের উদ্ধার করে। রাষ্ট্রপতি গুস্তাভো পেট্রো টুইটারে এক বার্তায় বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীর অনুসন্ধানের পর গুয়াভিয়ারে বিমান দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ চার শিশুকে জীবিত পেয়েছি আমরা।’
দুর্ঘটনায় পাইলটসহ তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক মারা যায় এবং তাদের মৃতদেহ বিমানের ভেতরেই পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত শিশুদের মধ্যে এক জনের বয়স মাত্র ১১ মাস। বাকিদের বয়স যথাক্রমে ১৩, ৯ এবং ৪ বছর। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দেওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযাযী, এই শিশুরা বিমান থেকে পালিয়ে গিয়েছিল এবং সাহায্যের জন্য রেইনফরেস্টে চলে গিয়েছিল।
উদ্ধারকারীরা অনুসন্ধানের জন্য কুকুরের সাহায্য নেয়। এই শিশুরা ফেলে দেওয়া ফল খেয়ে বেঁচে ছিল। সেইসঙ্গে জঙ্গলের গাছপালা দিয়ে আশ্রযয়ের জন্য একটু জায়গা করে নিয়েছিল। উদ্ধার অভিযানে কলম্বিয়ার সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনীর বিমান এবং হেলিকপ্টার অংশ নেয়।
সূত্র : রয়টার্স