কিশোরগঞ্জরে ভৈরবে বাড়ির মালিকের ‘কু-প্রস্তাবে’ শিশুর মা রাজি না হওয়ায় তার চার বছরের কন্যা শিশুকে তুলে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
পরে, অভিযুক্ত বাড়ির মালিক সোহেল মিয়াকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত সোহেল পলতাকান্দা গ্রামের মৃত মজিদ মিয়ার পুত্র।
নিহতের বাবা জাকির হোসেন ও তার নানা জনি মিয়াসহ পরিবারের সদস্যরা জানায়, পাঁচ-ছয় মাস আগে তারা শহরের পলতাকান্দা গ্রামে সোহেলের বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। নিহত নদী তাদের একমাত্র সন্তান। গত কয়েকদিন ধরে সোহেল নদীর মাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। তার প্রস্তাবে নদীর মা সাঁড়া না দেওয়ায় প্রায়ই সোহেল তার মেয়েকে হত্যার হুমকি দিতো ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও সোহেল ওই শিশুর মাকে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে সে ব্যর্থ হয়ে সাড়ে ৭টার দিকে নদীকে মুড়ি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় নদীর মা তার পিছু পিছু গিয়েও আর মেয়ের খোঁজ পায়নি। পরে মেয়েকে খোঁজে না পেয়ে এলাকার মসজিদের মাইকে ও আত্নীয়-স্বজনের সহায়তায় বিভিন্ন জায়গায় খোজাঁখোজি করে। অবশেষে রাত ১২টার দিকে ভৈরব থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ রাত সাড়ে ১২টার দিকে পলতাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ব পাশে ময়লা-আবর্জনা ও কচুরিপানার ঝোপ থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. রেজুয়ান দিপু, ভৈরব থানার ওসি গোলাম মোস্তফা, ওসি অপারেশন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভোরে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, অভিযুক্ত সোহেল মিয়াকে আটক করা হয়েছে। শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনো পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বাদীর অভিযোগের প্রক্ষিতে মামলা দায়ের করা হবে।
রাজশাহীর সময় / এম আর