ভিজিট ভিসায় মালদ্বীপে গিয়ে কাজে নিযুক্ত হয়ে হতাশায় দিন গুনছেন অসংখ্য বাংলাদেশি। তাদের অভিযোগ, দেশটিতে যাওয়ার পর বৈধভাবে ভিসা মিলবে এমন প্ররোচনায় দালালরা ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা নিলেও ভিসা দেয়া হয়নি। এদিকে বৈধ ভিসা না থাকলে কয়েক বছর জেল ও জরিমানা হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
আয়তনে ছোট হলেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালদ্বীপে শ্রমবাজারের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ২০১৯ সাল থেকে বৈধভাবে নতুন কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দেয় মালদ্বীপ সরকার। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কর্মসংস্থানের সন্ধানে ভিজিট বা ভ্রমণ ভিসায় মালদ্বীপে এসে কাজে নিযুক্ত হচ্ছেন অনেক বাংলাদেশি, যা দেশটির আইনে সম্পূর্ণ বেআইনি।
এর প্রভাবে বহির্বিশ্বে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি শ্রমবাজারে সংকট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করছেন বৈধ কর্মীরা। এমনই একজন সোহেল রানা। তিনি বলেন, এখানে ভ্রমণ ভিসায় আসার পর যারা চাকরি করছে বা আত্মগোপন করছে, তারা পরবর্তী সময়ে বেশ বিপাকেই পড়ে বলা যায়। তাদের বেশ কষ্টে জীবনযাপন করতে হয়।
মালদ্বীপের আইনে ভ্রমণ ভিসায় কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। সে ক্ষেত্রে আইন অমান্যকারীদের কয়েক বছর জেল ও বড় অঙ্কের জরিমানা গুনতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন মালদ্বীপের বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রমবিষয়ক কাউন্সিলর মো. সোহেল পারভেজ। তিনি বলেন, ‘মালদ্বীপে ভ্রমণ ভিসায় এসে কাজের চেষ্টা করা হলে জেল ও জরিমানা দুটোই হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে জন্য আমরা অনুরোধ করব যে যারা বাংলাদেশ থেকে এখানে বেড়াতে আসবেন, তারা কোনোভাবেই যেন কোনো ধরনের কাজে যোগ দেয়ার চেষ্টা না করেন।’
এদিকে মালদ্বীপে যাওয়ার পর বৈধভাবে ভিসা মিলবে এমন প্ররোচনায় ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে দালালরা ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে। তারা জানান, দালালরা তাদের প্যাকেজ করে পাঠিয়েছে, কিন্তু এ বিষয়ে তাদের কোনো ধারণা ছিল না। যে কারণে সেখানে কাজ খুঁজতে তাদের সমস্যা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে বর্তমানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংখ্যা প্রায় এক লাখ। এর মধ্যে ৫০ হাজারের মতো শ্রমিক অনিয়মিতভাবে কাজ করছেন।