পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতা শাহ মাহমুদ কোরেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পিটিআইয়ের অন্তত ১ হাজার ৯০০ জনেরও বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পিটিআই দাবি করেছে, দলের জ্যেষ্ঠ নেতা শাহ মাহমুদ কোরেশিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসলামাবাদ পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, তাকে জনশৃঙ্খলা রক্ষা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলেই কুরেশিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেছিল পুলিশ। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। তবে আজ ভোরে তাকে তার ইসলামাবাদের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
পিটিআইয়ের নিজস্ব টুইটার পেইজে শেয়ার করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, সাদা পোশাকে একদল লোক কোরেশিকে সঙ্গে নিয়ে চলে যাচ্ছেন। যাওয়ার সময় কোরেশি দলীয় সমর্থকদের হাত নেড়ে বিদায় জানান। তবে তাকে কোথায় রাখা হয়েছে সে বিষয়ে পিটিআই বা পুলিশ কোনো তথ্য দেয়নি।
এদিকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পর একদিন পেরিয়ে গেছে। তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র আন্দোলন। সহিংস এই আন্দোলনে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮ জন। আহত হয়েছেন আরও ২৯০ জন। এ ছাড়া গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ হাজার ৯০০ জনেরও বেশি নেতাকর্মীকে।
শাহ মাহমুদ কোরেশি ছাড়াও পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী এবং দলের মহাসচিব আসাদ উমর ও পাঞ্জাবের সাবেক গভর্নর ওমর সরফরাজ চিমাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, পিটিআই নেতা ইমরান খানকে গ্রেপ্তরের পর থেকে পাকিস্তানের বড় বড় শহরগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
দেশজুড়ে ইমরান খানের দলের কর্মীরা যে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তা ‘ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।
অন্যদিকে, পিটিআই কর্মীদের সেনা সম্পত্তি ও সেনা স্থাপনায় হামলার ঘটনাকে দেশটির ইতিহাসের ‘কালো অধ্যায়’ বলে বর্ণনা করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। আইএসপিআর এর পক্ষ থেকে বুধবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা কাউকে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার অনুমতি দিতে পারি না।