চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস কার্যক্রম নিয়ে নানা উৎকণ্ঠা ছিল ব্যবসায়ীদের। কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি ছিলেন বন্দরকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীরা। সিন্ডিকেটের কবলে থাকা সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর কারণে ব্যবসায়ীরা লোকসান দিয়ে আসছিলেন বছরের পর বছর। দীর্ঘদিন পর ৩২টি শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নতুন ২৩টি প্রতিষ্ঠান যুক্ত হওয়ায় ভেঙে গেল বন্দরের এ সিন্ডিকেট। এতে লোকসান কিছুটা কমে আসতে পারে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, আগের ৩২টি শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যাচাই-বাছাই শেষে বোর্ড সভায় অনুমোদনক্রমে এবার আরও ২৩টি প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে। এখন থেকে সিন্ডিকেট ভেঙে নতুন এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কারণে পুরোনো-নতুন মিলে বন্দরের কাজের পরিধি, গুরুত্ব, অপারেটিং কাজ, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কাজের সমবণ্টনসহ বন্দরের কাজের গতিও বৃদ্ধি পাবে এবং নানা ধরনের পণ্য খালাসে দক্ষ অপারেটরের প্রতিযোগিতাও বাড়বে। তা ছাড়া বে-টার্মিনালেও অপারেটর প্রয়োজন হবে। মাতারবাড়ীতেও জাহাজ আসার কারণে নতুন অপারেটরদের গুরুত্বও বাড়বে। কিছুদিন আগে সেখানে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জাহাজ ভিড়েছে।
বন্দর ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর গত ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরের বোর্ড সভায় প্রায় ১০০ প্রতিষ্ঠানের আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে নতুন ২৩টি প্রতিষ্ঠানকে শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বন্দরের আমূল পরিবর্তন আনাসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। আগের তুলনায় বর্তমানে কাজের পরিধি তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্দরের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্য ওঠানামা, আমদানি-রপ্তানিও বেড়েছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহানের সভাপতিত্বে নতুন করে আরও ২৩টি হ্যান্ডলিং অপারেটর প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেওয়ায় কাজের পরিধির পাশাপাশি পণ্য খালাসেও নানামুখী খরচ কমে আসবে।
সূত্রে আরও জানা যায়, এই অপারেটর নিয়োগের আগে ১৫ বছর ধরে ১৫টি থেকে পর্যায়ক্রমে বেড়ে এখন পর্যন্ত সর্বশেষ ৩২টি শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর নিয়োগ পায়। তারা তাদের পছন্দমতো পণ্য খালাসের জন্য অপারেটর দিয়ে সিন্ডিকেট করে কাজ করত। এতে আমদানিকারকদের পছন্দমতো কাজ হতো না। শুধু তাই নয়, ২০২১ সালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর নিয়োগের জন্য টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দিলে ৮টি অপারেটর প্রতিষ্ঠান হাইকোর্টে রিট করে। এর ফলে এক বছর ধরে ঝুলে ছিল টেন্ডার প্রক্রিয়াও। এখনো পর্যন্ত বর্তমান অপারেটররা (৩২টি প্রতিষ্ঠান) নানা কৌশলে একচেটিয়াভাবে হ্যান্ডলিং কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করছে। হ্যান্ডলিং খরচ নির্ধারণেও কোনো প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থা নেই। এতে গতিশীলতা কমছে বন্দরের। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা, এমন অভিযোগ আমদানিকারকদের।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান কালবেলাকে বলেন, বন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং প্রায় ১২ কোটি টন। আগে থেকে এটি চার থেকে পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্দরের বহির্নোঙরে আগে জাহাজ আসত ২ হাজার, এখন জাহাজ আসে ৪ হাজার ৫০০। এখন কিন্তু কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের কাজ অল্প কয়েকজনই করে আসছে, এটি প্রতিযোগিতাপূর্ণ হচ্ছে না। তারা তাদের ইচ্ছামতো মাশুল আদায় করছে। নতুন অপারেটরের কারণে প্রতিযোগিতা বাড়বে। এটি দ্রব্যমূল্যের ওপর বিরাট প্রভাব পড়বে। সাধারণ জনগণ এর উপকার ভোগ করবে।
এম শাহজাহান আরও বলেন, ১৯৮৭ সালের পর থেকে ৩২ জনই কাজ করে আসছিল। এর মধ্যে ৫টি ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাকি ২৭ জনই সিন্ডিকেট হয়ে কাজ করছে। পুরো ব্যবসা-বাণিজ্য তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। এখন যাদের আমরা নতুন করে লাইসেন্স দিয়েছি, প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠিত ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। লাইসেন্সের বিপরীতে তারা ছোট কাজ করতে পারবে। কাজ করার ফলে তারা অভিজ্ঞ হয়ে যাবে, এটির কারণে প্রতিযোগিতামূলক অংশগ্রহণ হবে। ফলে হ্যান্ডলিং চার্জ অনেক কমে আসবে। আমাদের দক্ষতাও বাড়বে।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, বন্দরের আয়তন বাড়ছে। সেই সঙ্গে ট্রেড ভলিউম বাড়ছে। কিন্তু হ্যান্ডলিং অপারেটর সেই পরিমাণে নেই। তা না থাকার কারণে কয়েকজন এটিকে মনোপলি করে ফেলেছে। অন্যদের কাজের কোনো সুযোগই ছিল না। বর্তমানে মাতারবাড়ীতে জাহাজ আসছে। কিছুদিন আগে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জাহাজ ভিড়েছে। এসব জায়গায় নুতন নতুন অপারেটর লাগবে। বে-টার্মিনালে অপারেটর লাগবে। বেশিসংখ্যক জাহাজ হ্যান্ডলিং করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক অপারেটর লাগবে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো। সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। নতুন অপারেটরের ফলে নতুন কর্মসংস্থান বাড়বে, কাজের পরিধি বাড়বে, রাজস্ব আদায়ও বাড়বে। বর্তমানে কয়েকজন মিলে যে সিন্ডিকেট করেছে, সেটি ভেঙে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দুই বছর ধরে এই কাজটি করতে চেষ্টা করছি। মামলাসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে করতে পারিনি। এখন সব বাধা অপসারণ করে আমরা এই প্রক্রিয়া করেছি। এখন আমরা লাইসেন্স ইস্যু করেছি। প্রায় ৯১টি আবেদন পড়েছিল। তার মধ্য থেকে ২৩টি প্রতিষ্ঠানকে গ্রহণযোগ্য মনে করে আমরা নির্বাচন করেছি। ভবিষ্যতে কেউ আবেদন করলে তাদের জন্যও তা উন্মুক্ত থাকবে। এখানে যারা লাইসেন্স পেয়েছে, পরে যখন আমরা এনলিস্টমেন্টের জন্য টেন্ডার করব, তখন তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে। যারা আছে তারা তো থাকবেই, নতুন আরও কেউ যুক্ত হতে পারবে। এখন জাহাজকে ১০ থেকে ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অপারেটরের সংখ্যা বেড়ে গেলে এই অপেক্ষা আর করতে হবে না। ফলে ব্যবসায়ীরা নিজেদের পছন্দমতো অপারেটর নিতে পারবেন। বর্তমানে সিন্ডিকেটের কারণে তা করা যাচ্ছিল না। বলা যায়, দীর্ঘদিন পরে চট্টগ্রাম বন্দরের সিন্ডিকেট ভেঙে গেছে।
বন্দর ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস বন্দর জেটি এবং বন্দরের বহির্নোঙর-দুই স্থানেই সম্পন্ন হয়। জেটিতে পণ্য ওঠানামার সঙ্গে সম্পৃক্তদের বার্থ অপারেটর এবং বহির্নোঙরে পণ্য খালাসের কাজে নিয়োজিতদের শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর বলে। আমদানিকারক ও শিপিং এজেন্টদের পছন্দমতো প্রতিযোগিতামূলকভাবে হ্যান্ডলিং অপারেটর নিয়োগ না দিতে পারায় অনেক সময় অদক্ষ অপারেটরের কারণে পণ্য খালাসে ধীরগতি ও পণ্য ড্যামেজের কারণে আমদানিকারকদের ক্ষতি গুনতে হয়। এতে সময় ও খরচ দুটিই বাড়ে। তারা বলেন, শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরের সংখ্যা না বাড়ালে এই সংকট আরও প্রকট হবে বে-টার্মিনাল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রেও। অতিরিক্ত সময়ের জন্য দৈনিক একটি জাহাজকে আকারভেদে গুনতে হয় ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার ইউএস ডলার ডেমারেজ। বহির্নোঙরে খালাস হওয়া বেশিরভাগই খাদ্যপণ্য ও ইন্ডাস্ট্রির কাঁচামাল হওয়ায় দেশের বাজারে পণ্যমূল্যের ওপর পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব, যার মূল্য দিতে হয় ভোক্তাকে। তবে নতুন করে ২৩টি প্রতিষ্ঠান যুক্ত হওয়ায় কাজের পরিধি ও কম খরচের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক দক্ষ অপারেটরের প্রতিযোগিতা বাড়বে বলে জানান তারা।
আমদানিকারকদের অভিযোগ, তারা ও শিপিং এজেন্টরা পণ্য খালাসে তাদের পছন্দমতো দাম ও প্রতিযোগিতামূলকভাবে দক্ষ অপারেটর নিয়োগ করতে পারেন না। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে খোলা পণ্য নিয়ে জাহাজ এলে পণ্য খালাসের জন্য শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন তাদের ইচ্ছামতো পর্যায়ক্রম অনুসারে অপারেটর নিয়োগ করে। গত ১৫ বছরে বন্দরের বহির্নোঙরে কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিং তিন গুণের বেশি বাড়লেও সেই তুলনায় বাড়েনি নতুন অপারেটর। আমদানিকারক ও শিপিং এজেন্টরা পণ্য খালাসে তাদের পছন্দমতো দাম ও প্রতিযোগিতামূলকভাবে দক্ষ অপারেটর নিয়োগ করতে পারে না। ফলে তারা জিম্মি হয়ে পড়ছেন শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরদের কাছে। শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর, যা আগে স্টিভডোর নামে পরিচিত ছিল, দেশের প্রধান এই সমুদ্রবন্দরে প্রায় ৭৫ ভাগ খোলা পণ্য (বাল্ক কার্গো) খালাস করে আসছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক কালবেলাকে বলেন, শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটররা বন্দরের নীতিমালা অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। নতুন করে আরও অপারেটর নিয়োগ হয়েছে। এর কারণে কাজের পরিধিসহ নানাবিধ সুফল আসবে। বন্দরের সার্বিক প্রবৃদ্ধির বিবেচনায় আরও নতুন শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর যুক্ত হওয়া প্রয়োজন।
তবে পুরোনো শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর প্রতিষ্ঠান ছাড়াও নতুন প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং ও বার্থ অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম শামসুজ্জামান রাসেলকে কল করা হলে তিনি নিজেদের বক্তব্য আছে জানিয়ে কল কেটে দেন।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর একটি কনটেইনার বন্দর হলেও এর হ্যান্ডলিংয়ের ৭০ ভাগ খোলা পণ্য এবং ৩০ ভাগ কনটেইনারবাহী পণ্য। বন্দরে কনটেইনার এবং বাল্ক ক্যারিয়ারে আমদানি পণ্য আসে। বাল্ক ক্যারিয়ারে খোলা পণ্যের ৭৫ শতাংশ হ্যান্ডেল করে শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর। এ ছাড়া খোলা পণ্যের বাকি ২৫ শতাংশ এবং কনটেইনারবাহী পণ্য খালাস হয় বন্দর জেটিতে।
শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটররা মাদার ভেসেল থেকে লাইটার জাহাজে পণ্য খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, শ্রমিক ও কর্মচারী নিয়মে বহির্নোঙরে যায়। একটি মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাসে শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরদের ১৮-২০ দিন সময় লাগে। নতুন যুক্ত হওয়ায় সেটির সময়ও কমে আসবে।
আরও জানা গেছে, ২০০৭ সালের আগে আমদানিকারকদের পছন্দমতো অপারেটর দিয়ে পণ্য খালাসের সুযোগ ছিল। ২০০৭ সালে সরকার রাজস্ব সুরক্ষার স্বার্থে শিপ হ্যান্ডলিংয়ের কাজে নিয়োজিত ৫৬টি স্টিভিডোর কোম্পানিকে বার্থ অপারেটর, শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর হিসেবে ভাগ করে। ২০১৫ সালে শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর নিয়োগের জন্য টেন্ডার আহ্বান করে বন্দর। আগের ২১টি অপারেটরসহ মোট ৩২টি প্রতিষ্ঠান শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর হিসেবে যুক্ত হয়। এর মধ্যে পাঁচটি অপারেটর ইনহাউস পণ্য (নিজস্ব কোম্পানির আমদানি হওয়া পণ্য) খালাস করে। বাকি ২৭টি অপারেটর প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন শিল্প গ্রুপ, আমদানিকারকের পণ্য হ্যান্ডলিং করে থাকে। এই খাতে প্রায় ২ হাজার ৫০০ শ্রমিক কাজ করে। ইনহাউস পণ্য খালাসের দায়িত্বে থাকা শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরগুলো হচ্ছে মেসার্স সি লিফট স্টিভিডোর লিমিটেড (সানশাইন সিমেন্ট), মেসার্স এম এ কালাম অ্যান্ড কোং (সিটি গ্রুপ), কে এস আবদুল হাকিম সন্স অ্যান্ড কোং (ফ্রেশ/মেঘনা গ্রুপ), এরিয়ান স্টিভিডোর লিমিটেড (প্রিমিয়ার সিমেন্ট) এবং আর চৌধুরী লিমিটেড (আবুল খায়ের গ্রুপ)।
সিন্ডিকেট-আধিপত্য রয়েছে শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরদের এবং রিট আবেদন: চট্টগ্রাম বন্দর সীমানায় জাহাজের আগমনী বার্তা ঘোষণার পর শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন তাদের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানকে পণ্য খালাসের জন্য সিন্ডিকেট করে কাজ বরাদ্দ দেয়। এসবের নেপথ্যে কারা জড়িত এবং কৌশলী ভূমিকা রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। অনেকের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগেও তদন্ত চলছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরদের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এনায়েতুর রহমান এবং মুস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ চট্টগ্রাম বন্দরের টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ হবে না এই মর্মে রুল জারি করেন।