বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য সহযোগিতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাপান সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্থানীয় সময় শুক্রবার জাপানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এনএইচকে'কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
২০১৭ সালে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান থেকে বাঁচতে অনেক সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে এসেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইউক্রেনের পরিস্থিতির কারণে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার জন্য শরণার্থী শিবির পরিচালনার খরচ বাড়ছে।
তিনি বলেন, বিপদে আমরা তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু আমরা এই চাপ আর কতদিন বহন করব?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এমনিতেই একটি জনবহুল দেশ। সেখানে আরও ১০ লাখ মানুষ আমাদের জন্য বাড়তি বোঝা।
দিন দিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দিন দিন তারা অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে। সেখানে মাদক ও অস্ত্র নিয়ে সংঘাত হচ্ছে। এটা নিশ্চয় আমাদের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ইতোমধ্যেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, তিনি ২০২৬ সালের মধ্যে জাপানের সঙ্গে একটি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পন্ন করতে চান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে তরুণদের একটি বিশাল জনসংখ্যা রয়েছে এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশাল বাজার রয়েছে।
এদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে চারদিনের জাপান সফর শেষে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট টোকিওর হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে ওয়াশিংটন ডিসির ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচরাইটার এম নজরুল ইসলাম।
যুক্তরাষ্ট্র সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে বিমানটির ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।