২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১২:৫৮:৪০ পূর্বাহ্ন


গৃহবধূকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করলেন যুবলীগ নেতা
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০২-২০২২
গৃহবধূকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করলেন যুবলীগ নেতা মো. ফুয়াদ আল মতিন (৩০)। ফাইল ফটো


নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে নেশাদ্রব্য খাইয়ে এক গৃহবধূকে (২৩) ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন গ্রেফতার যুবলীগ নেতা মো. ফুয়াদ আল মতিন (৩০)। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ৭ নং আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম আসামি যুবলীগ নেতা মো. ফুয়াদ আল মতিনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ডের পর আদালতের নির্দেশে আসামিকে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. সিরাজুল মোস্তাফা। 

তিনি বলেন, আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে  আসামিকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদ ইউনিয়নে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে নেশাদ্রব্য খাইয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। রাতে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে চাটখিল থানায় দুইজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় চাটখিল উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ আল মতিন এবং তার সহযোগীকে আসামি করা হয়। মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পরপরই পিবিআই নোয়াখালী কার্যালয়ে মামলাটি হস্তান্তর করা হয়। ওই গৃহবধূ নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরপর গতকাল সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই।

মামলার অভিযোগে ওই গৃহবধূ বলেন, চাকরি দেওয়ার কথা বলে ফুয়াদ আল মতিন আমাকে তার অফিসে ডেকে নেন। অফিসে যাওয়ার পর আমাকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করেন। এ সময় তার পাশে থাকা একজন ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। 

রাজশাহীর সময় /এএইচ