বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজছিলেন তরুণী। সেই খোঁজাখুঁজি করতে গিয়েই ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের মাধ্যমে ব্রিটেনের বাসিন্দা এক ভারতীয় ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। তারপর আলাপ,কথাবার্তা, প্রেম। তরুণী তখনও জানতেন না, সেই প্রেমের মাশুল হিসেবে তিন লক্ষ টাকা খোয়াতে হবে তাঁকে।
৩০ বছর বয়সি তরুণী মুম্বইয়ের কোলাবার বাসিন্দা। সম্প্রতি নিজের বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজছিলেন তিনি। গত ১০ মার্চ ফেসবুকে ‘ইউকে ম্যারেজ’ নামে একটি পেজের বিজ্ঞাপন দেখতে দুজনের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে বেশ কিছুদিন ধরে কথাবার্তা চলে। আলাপ গড়ায় অনেক দূর। কয়েকদিন পর রাহুল তরুণীকে জানায়, সে তাঁর জন্য বেশ কিছু দামি উপহার কিনেছে। সেগুলি ব্রিটেন থেকে কুরিয়ার মারফত ভারতে পাঠাচ্ছে সে।
এর কয়েকদিন পরেই হোয়াটসঅ্যাপে একটি ফোন আসে তরুণীর কাছে। ফোনের অন্য প্রান্তে থাকা ব্যক্তি জানায়, সে দিল্লি বিমানবন্দরের কাস্টমস বিভাগ থেকে ফোন করছে। তরুণীকে বলা হয়, ব্রিটেন থেকে তাঁর জন্য উপহার এসেছে। কিন্তু সেসব জিনিসপত্র হাতে পেতে গেলে কাস্টমস চার্জ হিসেবে কিছ টাকা দিতে হবে।
এরপর রাহুলের অনুরোধেই সেই টাকা দিয়ে দেন তরুণী। জানা গেছে, ৩ দিনের মধ্যে একাধিক অ্যাকাউন্টে মোট ৩ লক্ষ ৬০০০ টাকা ট্রান্সফার করেন তরুণী। কিন্তু তারপরেও রাহুলের পাঠানো উপহার তাঁর কাছে এসে পৌঁছায়নি। রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরেই কোলাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী।
গত বুধবার তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাতপরিচয় প্রতারকদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে যতটুকু তথ্য তাঁরা জোগাড় করতে পেরেছেন, তা থেকে অনুমান করা হচ্ছে, নাইজেরিয়ার কোনও প্রতারণা চক্রের হাত রয়েছে ঘটনায়। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।