০৫ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:৩৬:১৯ অপরাহ্ন


আরও এলএনজি কিনছে বাংলাদেশ
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৪-২০২৩
আরও এলএনজি কিনছে বাংলাদেশ ফাইল ফটো


স্পট মার্কেট থেকে আরও ৪ কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করছে বাংলাদেশ সরকার। চলতি গ্রীষ্মকালে তীব্র গরমে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে জ্বালানি পণ্যটি কেনা হচ্ছে। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ঠিকাদারকে আগামী জুনের মধ্যে এ এলএনজি সরবরাহ করতে হবে।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ৮ কার্গো এলএনজি আমদানি করেছি। আরও ৪ কার্গো আমদানির প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি।

আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে এলএনজি আমদানির দায়িত্বে রয়েছে পেট্রোবাংলা। বিদ্যমান দীর্ঘমেয়াদী সরবরাহ চুক্তির অধীনে জুন মাসে ৫ থেকে ৬টি কার্গো পাওয়া যাবে।

গত ফেব্রুয়ারি থেকে এলএনজি আমদানির জন্য বাজার পর্যবেক্ষণ করছে পেট্রোবাংলা। পরে প্রতি মাসে গড়ে দুটি কার্গো কিনছে প্রতিষ্ঠানটি।

২০২২ সালের শেষদিকে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। পরে বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম ব্যাপক বেড়ে যায়। ফলে জ্বালানি পণ্যটি কেনা বন্ধ করে বাংলাদেশ।

তবে চলতি বছর এশিয়ার স্পট মার্কেটে এলএনজির দর হ্রাস পেয়েছে। এ অঞ্চলে ব্যাপক মজুত বাড়ায় এবং চাহিদা কমায় এ নিম্নমুখিতা তৈরি হয়েছে।

গত বছরের মাঝামাঝিতে এলএনজির মূল্য ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত জ্বালানি পণ্যটির দরপতন হয়েছে ৮৩ শতাংশ। প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিটের (এমবিটিইউ) দাম স্থির হয়েছে ১২ ডলারে।

ফলে এনএনজি কিনতে উদ্যোগী হয়েছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে সারাদেশে প্রখর তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ইতোমধ্যে আগামী মে মাসের জন্য ৩ কার্গো এলএনজির ক্রয়াদেশ দিয়েছে সরকার।

জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, জ্বালানি পণ্যটির দাম কমছে। এটা আমাদের জন্য সুখবর। দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমরা সবধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
 
তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদে জ্বালানি আমদানির জন্য ওমানের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছার চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি আমরা। কাতারের সঙ্গেও আলোচনা চলছে।

মোট বিদ্যুতের দুই-তৃতীয়াংশ উৎপাদনের জন্য এলএনজির ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশ। ফলে প্রতিবছর ব্যাপক পরিমাণে জ্বালানি পণ্যটি আমদানি করতে হয়। কারণ, অভ্যন্তরীণ গ্যাসের মজুত হ্রাস পেয়েছে। সেই সঙ্গে কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতার অভাব রয়েছে।