ঝিনাইদহে কৃষক চান্নু মিয়া হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. শওকত হোসাইন এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এক মামলায় রায়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বলেছেন, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ৩০ বছর পর্যন্ত কারাভোগ করতে হবে। তবে কোনো রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড উল্লেখ থাকলে তখন মারা না যাওয়া পর্যন্ত ওই আসামিকে কারাবাস করতে হবে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ৮ এপ্রিল সদর উপজেলার করিমপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চান্নু মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন চান্নু মিয়ার বাবা শাহাদাত হোসেন ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৩০ জুন সদর থানার তৎকালীন এসআই আলমগীর ৩০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আসামি বজলু মিয়াকে আমৃত্যু, তফসের আলী, আব্দুল জলিল, তিতু, ইকতিয়ার ও আব্দুল আলিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিচার চলাকালীন আসামি মো. সৈয়দ আলি, মো. আতিয়ার রহমান, বছির আলি ও মো. আফছার আলি মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলায় রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নেকবর হোসেন জানান, তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
রাজশাহীর সময় /এএইচ