২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২:৫২:৫১ অপরাহ্ন


ইসলামের সঠিক চর্চার জন্যই মডেল মসজিদ: প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৪-২০২৩
ইসলামের সঠিক চর্চার জন্যই মডেল মসজিদ: প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


ইসলাম ধর্মের সঠিক চর্চাটা যাতে হয় এবং ইসলাম ধর্মের মর্মবাণীটা যাতে মানুষ সঠিকভাবে জানতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়েই মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম প্রতিটি জেলা, উপজেলা, পৌরসভায় মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হবে এবং ইসলামিক সংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, সেটা পর্যায়ক্রমে করে দেয়া হচ্ছে।

যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় আলেম-ওলামারা মানবতার কান্ডারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের কাছে একটাই অনুরোধ থাকবে, কোমলমতি ছেলেদের কেউ যেন বিভ্রান্তির পথে নিয়ে না যায়, জঙ্গিপথে নিয়ে যেতে না পারে; ইসলাম যে শান্তির ধর্ম সেটা তাদের বোঝাতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে ইসলাম ধর্ম যে শান্তির ধর্ম, মানুষ খুন করে কখনো বেহেশতে যাওয়া যায় না, নিরীহ মানুষকে খুন করলে দোজকের আগুনে পুড়তে হয়, এ বিষয়গুলো সম্পর্কে তাদের সচেতন করতে হবে। আলেম-ওলামাদের সমাজের সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধার চোখে দেখেন, তাই আপনাদের কথার গুরুত্ব রয়েছে সমাজে। তাই মাদকাসক্তি, জঙ্গিবাদ থেকে তাদের ফেরাতে সমাজের সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছে দিতে হবে আপনাদের।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি।

চতুর্থ পর্যায়ে অর্ধশত মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হলো। ২০১৭ সালে সরকার দেশের প্রতিটি জেলায় ও উপজেলায় ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদ স্থাপন করতে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। ইতিমধ্যে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রথম পর্যায়, ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায় এবং ২০২৩ সালের ১৬ মার্চে তৃতীয় পর্যায়ে ৫০টি করে মোট ১৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন হয়েছে।