নওগাঁর ধামইরহাটের আগ্রাদিগুণ সীমান্তের রামচন্দ্রপুর গ্রামে প্রায় ৪৫
বছরের বিরোধ নিষ্পত্তির পর প্রায় ১ একর জমির মালিকানা ফিরে পেয়েছে
বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড
বাংলাদেশের (বিজিবি) কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল
দুপুরে উপজেলার আগ্রাদ্বিগুণ ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর ফুটবল মাঠে দুই দেশের
পতাকা বৈঠকের পর জমির মালিকানা পায় বাংলাদেশ। পত্নীতলা-১৪ বিজিবি সূত্রে
জানা যায়, উপজেলার আগ্রাদিগুণ সীমান্তে ২৫৭/২০ আর পিলারের কাছে জমি নিয়ে
বিজিবির সঙ্গে বিএসএফের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। আর জমিটি বাংলাদেশের ১০০ গজ
অভ্যন্তরে হওয়ায় সেখানে বাংলাদেশের কৃষকরা চাষাবাদ করে আসছিলেন। বিরোধপূর্ণ
সম্পত্তির নিষ্পত্তি করতে বিএসএফের সঙ্গে বিজিবির পতাকা বৈঠক আহ্বান করা
হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ব্যাটালিয়ন
কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব
দেন পত্নীতলা-১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. হামিদ উদ্দিন ও
বিএসএফের নেতৃত্ব ছিলেন ভারতের আরাদপুর-১৬৪ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ
কমান্ড্যান্ট শ্রী সঞ্জয় কুমার মিশ্রা। এরপর উভয় দেশের সার্ভেয়ার দিয়ে জমি
পরিমাপ করা হয়। মাপজোক শেষে প্রায় ১ একর জমি পায় বাংলাদেশ। তবে ভারতীয়
কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত কোনো পক্ষই জমিটি ভোগ দখল করতে পারবে
না। এরূপ সিদ্ধান্ত নিয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুই দেশের পতাকা বৈঠকটি
শেষ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পত্নীতলা-১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল
মো. হামিদ উদ্দিন বলেন, ‘জমিটি নিয়ে দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে বিরোধ চলছিল। দুই
দেশের যৌথ জরিপে এটি বাংলাদেশের সম্পত্তি সেটি প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশি
চাষিরা আবারও তাদের জমিতে চাষাবাদ করতে পারবেন। এটি আমাদের বড় সাফল্য।’