প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিনিয়োগ, কৃষি, মৎস্য, ওষুধ, সামুদ্রিক যোগাযোগ এবং উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়ানোর প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাকায় শ্রীলঙ্কার বিদায়ী হাইকমিশনার অধ্যাপক সুদর্শন ডিএস সেনেভিরাইন গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় যা ঐতিহাসিক বন্ধন এবং ব্যাপক অভিন্নতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে যেখানে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।’ ইহসানুল করিম উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার উভয়েই ‘সুনীল অর্থনীতির’ ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মসূচির ৯০ শতাংশ এখন দেশীয় সম্পদ থেকে অর্থায়ন করা হয়। তিনি উল্লেখ করেন, কভিড-১৯ মহামারীর কারণে সারা দেশে উন্নয়ন প্রক্রিয়া থেমে গিয়েছিল। খবর বাসস।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিন্তু, ‘বাংলাদেশ এই অবস্থা থেকে ফিরে আসার জন্য সংগ্রাম এবং কঠোর পরিশ্রম করছে।’
বাংলাদেশে হাইকমিশনার সফলভাবে দায়িত্ব পালন সম্পন্ন করায় প্রধানমন্ত্রী তাকে অভিনন্দন জানান।
অধ্যাপক সুদর্শন ডিএস সেনভিরাইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
হাইকমিশনার পদ্মা সেতুর মতো মাতার বাড়ি ও পায়রার বন্দর প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ কানেকটিভিটির বড় আঞ্চলিক হাবে পরিণত হবে।
শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার বলেন, তার দেশ বাণিজ্য, পর্যটন, গভীর সমুদ্রবন্দর এবং ওষুধ খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
তিনি পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশের ভারসাম্য রক্ষার ফর্মুলার প্রশংসা করেন।