প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতেই কাজ করছে তার সরকার।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী বা ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনের আগে সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
বৈঠকে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘সংসদে বঙ্গবন্ধু’ ও ‘মুজিববর্ষ বিশেষ অধিবেশন’ শিরোনামে প্রকাশিত বিশেষ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা মনে হয় পৃথিবীর মধ্যে বিরল একটি ঘটনা যে, মুক্তিযুদ্ধের পর মাত্র নয় মাসের মধ্যে একটি সংবিধান প্রণয়ন করে বাঙালি জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এ সংবিধানটি পৃথিবীতে বোধহয় সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধান হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম বাংলাদেশের মানুষকে বোঝা ও জানা এবং তাদের আর্থসামাজিক উন্নতি সবকিছু জানার একটা সুযোগ পাবে এ বইয়ের মাধ্যমে।’
বিশেষ এ অধিবেশন আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল যাত্রা শুরু করেছিল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ। কালের পরিক্রমায় এই সংসদ পেরিয়েছে প্রতিষ্ঠার পাঁচ দশক।
৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন ডেকেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে শুরু হয় বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রম। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সেশনে যোগ দেন সংসদ সদস্যরা।
প্রথম দিনে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। বিদেহীদের আত্মার শান্তি কামনায় করা হয় মোনাজাত, কমিটির রিপোর্ট উপস্থাপন এবং আইন প্রণয়নের মতো স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর পর অধিবেশন মুলতবি করেন স্পিকার।
অধিবেশনের আগে একাদশ জাতীয় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির ১২তম বৈঠক হয়। এ সময় সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত বিশেষ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সংসদ নেতা, বিরোধীদলীয় নেতাসহ কমিটির সদস্যের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়, ৬ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে বিশেষ এই অধিবেশন। আর শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে বিশেষ অধিবেশনে স্মারক বক্তব্য দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এছাড়া শনিবার সংসদ নেতা সাধারণ প্রস্তাব উত্থাপন করলে তার ওপর আলোচনা করবেন আইনপ্রণেতারা।