১৮ মে ২০২৪, শনিবার, ০৯:৪৯:৩৪ পূর্বাহ্ন


পর্নোগ্রাফী মামলায় বায়া পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৪-২০২৩
পর্নোগ্রাফী মামলায় বায়া পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল গ্রেপ্তার ফাইল ফটো


পর্নোগ্রাফী আইনের মামলায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের এক কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১ এপ্রিল) রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ধানসুরা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার সহযোগী শহিদুল ইসলাম সুমনকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্যের নাম রাশেদুল খান। তিনি এয়ারপোর্ট থানার বায়া বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর এলাকার একটি স্কুলের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম সুমনের পরিচয় হয়। গত ৫ মার্চ ওই শিক্ষক রাজশাহীতে আসলে সুমন তাকে নগরীর রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকার একটি বাড়িতে ডেকে নেন। ওই বাড়িতে সুমন ভাড়া থাকতেন। পূর্ব পরিচয়ের কারণে শিক্ষক সেখানে যান। বাড়িতে আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছিলেন একজন নারী।

এর পর জোর করে শিক্ষকের সঙ্গে ওই নারীর অন্তরঙ্গ কিছু ছবি ও ভিডিও তুলে নেন সুমন ও পুলিশ সদস্য রাশেদুল খান। পরে ওই ছবি দেখিয়ে তারা শিক্ষকের কাছ থেকে টাকা দাবি করেন। তাকে ফাঁসাতে সুমনকে সহযোগীতা করেন পুলিশ সদস্য রাশেদুল খান। এ ঘটনার পর গত ২০ মার্চ রাজপাড়া থানায় ভুক্তভোগী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন।

মামলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রহনপুর উপজেলার মাইনুদ্দিনের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল রাশেদুল খান ও বাইশা পুকুর ময়ামারি ভোলাহাট চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার রবিউল ইসলাম রবুর ছেলে শহিদুল ইসলাম সুমনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরও বেশ কয়েক জনকে আসামি করা হয়।

আরএমপির মুখপাত্র ও এডিসি রফিকুল আলম বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য রাশেদুল খানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।