০৫ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:২৮:২৩ পূর্বাহ্ন


সাংবাদিক পর্যবেক্ষকদের বাধা দিলে ২-৭ বছরের জেল
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৩-২০২৩
সাংবাদিক পর্যবেক্ষকদের বাধা দিলে ২-৭ বছরের জেল File Photo


ভোটের দিনে নির্বাচন কমিশন অনুমোদিত সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের বাধা দিলে বা সম্পদ বিনষ্ট করলে দুই থেকে ৭ বছর পর্যন্ত সাজার বিধান রেখে   নির্বাচনী আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত   মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। সচিবালয়ে বৈঠক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান এ তথ্য জানান। পরে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, যারা আমাদের গণমাধ্যমকর্মী এবং পর্যবেক্ষক, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এখানে একটা বিধান রাখা হয়েছে। যদি কেউ গণমাধ্যমকর্মী এবং পর্যবেক্ষকদের তার আইনানুগ কাজে বাধা প্রদান করে, সেক্ষেত্রে ২ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। পর্যবেক্ষক ও সংবাদমাধ্যমকর্মী হিসেবে নির্বাচন কমিশন থেকে যাদের কার্ড দেয়া হবে, তাদের বাধা প্রদানের ক্ষেত্রে এই বিধান কার্যকর হবে বলে জানান মাহমুদুল হোসাইন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আপনার যদি বৈধভাবে প্রবেশ করার অধিকার থাকে, তারপরও আপনাকে বারিত করা হলো বলপ্রয়োগ করে, আপনার ক্যামেরা ভেঙে ফেললো, ইত্যাদি অনেক কিছু হতে পারে, সেক্ষেত্রে ২ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সুরক্ষার পাশাপাশি মোট ১৪টি নতুন ধারা গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আদেশ ২০২৩-এর খসড়ায় রয়েছে বলে জানান সচিব। তিনি বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এখনো চূড়ান্ত হয়নি, আরও কিছু কারেকশন আছে, আরও কিছু মতামতসহ এটা আবার মন্ত্রিসভায় উপস্থাপিত হবে।

তখন আরও কিছু যদি সংযোজন হয়, তারপর চূড়ান্ত করা হবে। মাহমুদুল হোসাইন বলেন, আগের আইনে থাকা সম্পদ বিবরণীর পাশাপাশি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে টিআইএন এবং আয়কর জমার রসিদ যুক্তির বাধ্যবাধকতা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে টিআইএন সার্টিফিকেট সংযুক্ত করতে হবে এবং কতো টাকা আয়কর প্রদান করেছে, সেই রশিদের অনুলিপিও সাবমিট করতে হবে। আগে এটা ছিল না। আগে শুধু সম্পদ বিবরণীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল, এখন এই দুটো সংযুক্ত করা হয়েছে। সাত দিনের পরিবর্তে একদিন আগেও পরিষেবা বিল পরিশোধ করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারার প্রস্তাব যুক্ত করার কথা জানিয়ে সচিব মাহমুদুল বলেন, আগে যেটা ছিল, যেদিন সে মনোনয়নপত্র দাখিল করবে, তার সাতদিন আগে জমা দিতে হতো। না হয় মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হতো। এখন ইউটিলিটি বিল যেদিন মনোনয়নপত্র জমা দিবে, তার আগের দিন পর্যন্ত দাখিল করতে পারবে। রিটার্নিং কর্মকর্তার বিধানে পরিবর্তনের প্রস্তাব আসার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আগের আইনে প্রতি জেলায় একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলার সবক’টি সংসদীয় আসনের নির্বাচন পরিচালনা করতেন। সংশোধিত আইনে প্রতি সংসদীয় আসনের জন্য একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এখানে ডিস্ট্রিক্টের পরিবর্তন করে কন্সটিটিউয়েন্সি’ করা হয়েছে। আগে ছিল জেলায় একজন, এখন প্রতি সংসদীয় আসনে একজন থাকবেন।