২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১২:৩৬:৩১ অপরাহ্ন


সাহরিতে মাইক ব্যবহার নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৩-২০২৩
সাহরিতে মাইক ব্যবহার নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ সাহরিতে মাইক ব্যবহার নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ


রমজান মাসে শেষ রাতে সাহরির সময় মসজিদের মাইকে অতিরিক্ত ডকাডাকি ও গজল গাওয়ার প্রথা নিষ্প্রয়োজন এবং তা বন্ধ হওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সোমবার দিবাগত রাতে এ মত জানান তিনি।

শায়খ আহমাদুল্লাহ লেখেন, একটা সময় মানুষের প্রয়োজনেই হয়তো ডাকাডাকির এই প্রথা চালু হয়েছিল। কিন্তু এখন প্রতিটা বাড়িতেই ঘুম ভাঙানোর মতো দু-চারটা এলার্ম ঘড়িবিশিষ্ট মোবাইল ফোন আছে। এ সময়ে এসে ঘুম ভাঙানোর জন্য মাইকের মাত্রারিক্ত ডাকাডাকি নিষ্প্রয়োজন; বরং বিরক্তিকর। কারণ সাহরির ওই সময়টা তাহাজ্জুদ এবং দোয়া কবুলের সময়। ওই সময় মাইকের আওয়াজ ইবাদতকারীদের ইবাদতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। তাছাড়া ঋতুবতী নারী, অসুস্থ, শিশু এবং অমুসলিমদের ঘুমেরও ব্যাঘাত সৃষ্টি করে মাইকের আওয়াজ।

শায়খ আহমাদুল্লাহ আরো লেখেন, ‘যেখানে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে উচ্চস্বরে কোরআন তেলাওয়াত করতে নিষেধ করেছেন স্বয়ং রাসুল (সা.)- সেখানে অনেক সময় ধরে মাইক বাজানো কতটা যুক্তিসঙ্গত এবং ইসলাম-সঙ্গত? হ্যাঁ, সাহরির শুরুতে এবং শেষে এক-দু বার ডেকে দেওয়া যায়। কিন্তু লাগাতার ডাকাডাকি, গজল, হামদ-নাত গাওয়া মোটেও কাম্য নয়। আমাদের এই সকল কর্মকাণ্ডের জন্য অনেকে ইসলামের প্রতি বিতৃষ্ণ হয়ে যায়।’

তিনি লেখেন, ‘অনেকে হয়তো আজানের কথা বলবেন- ফজরের আজানের কারণেও তো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। আসলে আজান এবং সাহরির ডাকাডাকি দুটো ভিন্ন জিনিস। আজান ইসলামের শিআর। তাছাড়া আজান খুবই সংক্ষিপ্ত সময় নিয়ে হয় এবং ফজরের আজান গভীর রাতেও দেওয়া হয় না। এ কারণে দুটোকে এক করে দেখার সুযোগ নেই।’

শায়খ আহমাদুল্লাহ লেখেন, ‘ইসলাম পরিমিতিবোধের ধর্ম। ইসলামের এই পরিমিতিবোধ সমাজের সকল স্তরে প্রয়োগ হলে আমাদের জীবন সহজ এবং সাবলীল হবে।’