নগরীর মতিহার থানাধীন জাহাজঘাট খোজাপুর এলাকায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে পুকুর ভরাট। পুকুরটি ভরাট করছেন শাহজাহান, ইসরাফিল ও সোহরাব তিন ভাই। সকলের পিতা মোঃ বাহার আলী।
মুঠোফোনে পুকুর ভরাটের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও কিভাবে পুকুর ভরাট করছেন প্রশ্নের জবাবে শাহজাহান বলেন, আমি পুকুর ভরাট করছি না, যে অংশ ভরাট করা হচ্ছে সেই অংশটা আমার ভাই সোহরাবের। তাছাড়া পুকুর ভরাট করলে আপনাদের সমস্যা কি?
তিনি রাগান্বিত ভাষায় বলেন পুকুর ভরাট করে কোন অপরাধ করছি না, যদি অপরাধ করে থাকি আপনারা মামলা করেন আমার নামে বলে ফোন কেটে দেন তিনি।
গত ৫দিন আগে সরেজমিনে আরডিএ কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করে ভরাট করতে নিষেধ করেন। একই সাথে মতিহার থানা পুলিশ সরেজমিনে এসে পুকুরটি ভরাট করতে নিষেধ করেন। কিন্তু সকল নিষেধ উপেক্ষা করে দ্বিতীয়বারের মতো পুকুর ভরাট করছেন শক্তিশালী ব্যক্তি শাজাহান ও তার ছেলেরা।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুকুরের পানি শ্যালো মেশিনের দ্বারা শেচ করে পানি কমিয়ে ফেলা হচ্ছে। একইসাথে পানি কমিয়ে পুকুরে ফেলা হচ্ছে ভরাট।
অভিযোগের ভিত্তিতে (১৯ ফেব্রুয়ারি) শনিবার বিকেলে সরেজমিনে মতিহার থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ সেলিম রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং এক ডালি মাটি যেন পুকুরে না পড়ে বলে নির্দেশ দিয়ে আসেন এস আই সেলিম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন তুহিন বলেন,এর আগেও আমি ফোর্স পাঠিয়ে পুকুরটি ভরাট করতে নিষেধ করেছি।
আজ শনিবার বিকেলে ফোর্স পাঠিয়ে পুকুরটি ভরাট করতে নিষেধ করা হয়েছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আওতার মধ্যে কোন পুকুর ভরাট করা যাবে না। কেউ যদি নির্দেশ অমান্য করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।
রাজশাহীর সময় / এফ কে