রাজশাহীর পুঠিয়ায় চুরির অপরাধে এক ছেলেকে হাত-পা বেঁধে মারধর করছেন গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি। মারধরের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। আজ শনিবার এঘটনার দুদিন পর ভুক্তভোগীর বাবা পুঠিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মারধরের সঙ্গে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন, গোটিয়া গ্রামের আব্দুল বারিক, বিদ্যুৎ কুমার ও জিতেন ধর। অপরদিকে মারধরের শিকার হওয়া ওই যুবকের নাম দোয়েল (১৭)। সে ভালুকগাছি ইউনিয়নের টোনাপাড়া গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ভালুকগাছি ইউনিয়নের গোটিয়া গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। তবে ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে মারধরের ১ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ভালুকগাছি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য শাহিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই গ্রামের আদিবাসীরা প্রতিদিন সকালে মাঠে কাজে চলে যায়। সে সুবাদে গত বৃহস্পতিবারও তারা ঘরে তালা লাগিয়ে কাজে বের হয়। দুপুরের দিকে আদিবাসী পরেশ সর্দার বাড়ি এসে দেখতে পায়, তার ঘরের তালা ভাঙা। সে সময় দোয়েল নামে এক যুবক তার বাড়ির থেকে দৌড়ে পালাতে থাকে। তার দৌড়ানো দেখে পরেশ সর্দার চোর পালাচ্ছে বলে চিৎকার করতে থাকে। তার চিৎকারে মাঠে কাজ করা কয়েকজন গ্রামবাসী দোয়েলকে আটক করেন। পরে তাকে কয়েকজন মিলে মারধর করে। মারধরের অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে ধরে নিয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী দোয়েলের পিতা সাইদুর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমার ছেলে গোটিয়া গ্রামে এক আত্মীয়র বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছিল। সে সময় কিছু লোকজন তাকে চোর বলে আখ্যা দেন। এরপর তাকে হাত-পা বেঁধে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। এতে সে গুরুতর আহত হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করাচ্ছি। এর মধ্যে সেই মারধরের একটি ভিডিও তারা ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় আজ সকালে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।
এ ব্যাপারে থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, সকালে ভুক্তভোগীর পিতা থানায় এসে তিনজনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মারধরের ভিডিও দেখে চিহ্নিত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ভুক্তভোগী ওই ছেলেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজশাহীর সময় / এফ কে