২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৩:৩০:৫৮ পূর্বাহ্ন


পায়রা বন্দরে হস্তান্তর হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ড্রেজিং প্রকল্প
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৩-২০২৩
পায়রা বন্দরে হস্তান্তর হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ড্রেজিং প্রকল্প ফাইল ফটো


দেশের সবচেয়ে বড় ড্রেজিং প্রকল্প পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ‘ক্যাপিটাল এন্ড মেইনটেনেন্স ড্রেজিং’ এর কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। 

রোববার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে পায়রা বন্দরের কাছে চ্যানেলটি হস্তান্তর করবে। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক ট্রাফিক আজিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রিয়ার এ্যাডমিরাল এম সোহায়েলের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ড্রেজিংয়ের ফলে চ্যানেলটির গভীরতা ১০ দশমিক ৫ মিটারে উন্নীত হয়েছে, যা বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে গভীরতম।

তিনি আরও বলেন, এর ফলে প্যানামেক্স সাইজের বড় মাদার ভ্যাসেল সহজে প্রতিনিয়ত বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে। এতে বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। চলতি মাসে সাতটি জাহাজ আসবে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জাহাজ পায়রা বন্দরে পন্য খালাসের জন্য নোঙর করবে। শুধু ড্রেজিংই নয়, সমান তালে এগিয়ে চলছে বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ কাজ। মে মাসে বন্দরের ‘প্রথম টার্মিনাল’ উদ্বোধন করা হবে। ইতিমধ্যে ইনার ও আউটারবারে মার্কিং, বয়া বাতি বসানো হয়েছে। ইনারবারে ১৫টি জাহাজ রাখা যাবে। সেখানে লোডিং-আনলোডিং কার্যক্রম চলবে। পায়রা বন্দরের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিগ্রস্থদের ৪ হাজার ২০০টি পরিবারের ন‍্যূনতম একজনকে ২৩টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তারা স্বাবলম্বী হচ্ছেন। ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের মাটি দিয়ে এক হাজার একর জমি ভরাট করা হয়েছে।

পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিব্বুর রহমান মহিব জানান, পায়রা বন্দর ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলে উন্নয়নের মহা কর্মযজ্ঞ চলছে। পায়রা বন্দর আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এটা আমাদের জন্য বড় পাওয়া। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়,  ২০২১ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয় পায়রা বন্দরের ক্যাপিট্যাল ড্রেজিং। টানা দুই বছর ড্রেজিং চলার পর শেষ হচ্ছে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ। 

ড্রেজিংয়ের ফলে ১০ দশমিক ৫ মিটার গভীরতার একটির চ্যানেল সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ৪০ হাজার ডেডওয়েট টন কার্গো বা তিন হাজার কন্টেইনারবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারবে।

 ক্যাপিট্যাল ড্রেজিং এর কাজ শেষে হলেও চ্যানেলের নাব্য ধরে রাখতে মেইনটেনেন্স ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হবে। যা ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।