০৫ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:৩৯:৫৮ অপরাহ্ন


আজ উদ্বোধন : হাওড়ে নান্দনিক বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৩-২০২৩
আজ উদ্বোধন : হাওড়ে নান্দনিক বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ ফাইল ফটো


হাওড়াঞ্চলের জেলা সুনামগঞ্জ। প্রতিনিয়তই আগাম বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হয় এই অঞ্চলের মানুষের। এ বিষয়টা চিন্তা করেই সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের ঈশাকপুর-শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ তলাবিশিষ্ট বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করেছে সরকার। আধুনিক মানের নান্দনিক এই বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করায় পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ বিভিন্ন দুর্যোগে যেমন নিরাপদ আশ্রয় পাবে, তেমনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা সারা বছর ক্লাস করতে পারবে। এতে তাদের শ্রেণিকক্ষ সমস্যারও সমাধান হবে। আজ শনিবার দৃষ্টিনন্দন এই বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রটির শুভ উদ্বোধন করবেন পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ এম এ মান্নান এমপি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকার সারাদেশে বন্যাপ্রবণ ও নদী ভাঙন এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় শান্তিগঞ্জের ঈশাকপুর-শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়েও ৩ কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার ১০০ টাকা ব্যয়ে একটি ৩তলা বিশিষ্ট বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এই বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে বিভিন্ন দুর্যোগে ওই এলাকার মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবেন। পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সারা বছর ভবনে ক্লাস করতে পারবে। যা একসঙ্গে দুই কাজেই বড় ভূমিকা পালন করবে। গত বছরের বন্যায়ও এই ভবনে অনেক মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। বহুল প্রত্যাশিত এই বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রটি আজ ২৫ মার্চ শনিবার উদ্বোধন করবেন এই এলাকার সংসদ সদস্য পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি।
স্থানীয়রা উচ্ছ¡াস প্রকাশ করে জানান, ৩ তলা বিশিষ্ট এই দৃষ্টিনন্দন বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রটি নির্মাণ হওয়ায় এলাকার মানুষ বিপদে যেমন আশ্রয় নিতে পারবে, তেমনি শিক্ষার্থীরা সুন্দর মনোরম পরিবেশে ক্লাস করতে পারবে। এই দৃষ্টিনন্দন ভবনটি হওয়ায় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনামন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আধুনিক মানের এই ৩ তলা ভবনটি হওয়ায় এখানে নানা দুর্যোগে এলাকার মানুষ নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারবেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও সারা বছর ক্লাসরুম হিসেবে আশ্রয়কেন্দ্রটি ব্যবহার করতে পারবে। আজ ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।