মানুষের মনকে প্রফুল্ল ও চিন্তামুক্ত করে তোলে হাসি। এতে মানসিক সুস্থতা বৃদ্ধি পায়। তবে তা হতে হবে মুচকি হাসি। কারণ অট্ট হাসিতে রয়েছে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি। যা চিকিৎসা বিজ্ঞানেও তা প্রমাণিত। পক্ষান্তরে মুচকি হাসি দেওয়া সুন্নত। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুচকি হাসি দিতেন। এ হাসিতে রয়েছে উপকারিতা ও সওয়াব।
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অধিক পরিমাণে মুচকি হাসি দিতেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে হারিস বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চেয়ে অধিক মুচকি হাসি দেওয়া ব্যক্তি অন্য কাউকে দেখিনি।’ (মুসনাদে আহমদ)
মুচকি হাসির অনেক উপকারিতার কথা ওঠে এসেছে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসের বর্ণনায়। পরস্পরের সঙ্গে মুচকি হাসি বিনিময়ে রয়েছে কল্যাণ ও সাদকার সওয়াব। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নেক কাজের কোনো কিছুকেই তুচ্ছ মনে করো না, যদি তা (নেক কাজ) তোমার নিজের ভাইয়ের সঙ্গে মুচকি হাসির মাধ্যমে সাক্ষাৎ করার দ্বারাও হয়।’ (মুসলিম)
মুমিন মুসলমানের পারস্পরিক সাক্ষাতে মুচকি হাসির মাধ্যমে মিলবে সাদকার সওয়াব। হাদিসের অন্য এক বর্ণনায় এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মুচকি হাসি সাদকা।’ অর্থাৎ পরস্পরের সঙ্গে মুচকি হাসির মাধ্যমে ভাব বিনিময় করাও মুসলমানের জন্য একটা সদকা স্বরূপ। আর সদকা হলো সওয়াবের কাজ।
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত পারস্পরিক দেখা-সাক্ষাতে মুচকি হাসির মাধ্যমে অভিনন্দন ও অভিবাদন করা। খোঁজ খবর নেয়া। আর সামান্য এ কাজের মাধ্যমে লাভ করবে সাওয়াব। মন হবে প্রফুল্লা। শরীরের অঙ্গগুলো থাকবে সতেজ ও সুস্থ।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নসিহত অনুযায়ী পারস্পরিক প্রতিটি কাজ-কর্মে এবং সৌজন্যতা প্রকাশে মুচকি হাসির প্রচলন করার তাওফিক দান করুন। শারীরিক ও মানসিক উপকারের পাশাপাশি সাওয়াব লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।