আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আবারও জয়ী করতে প্রবাসী ও মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। তিনি বলেন, দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন নারী ভোটার ও সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের চিত্র পৌঁছে দিতে হবে। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এ খব্র জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
গতকাল নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্তোরাঁয় যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্বাধীনতা দিবস, আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ‘বিদেশে বসে স্বাধীনতার বিরোধীতাকারী এবং দেশবিরোধীরা মিথ্যা প্রচার ও ষড়যন্ত্র করছে। তারা দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করে অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় যেতে চায়। এই ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে পুরুষের পাশাপাশি নারীকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি নারীকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকার নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল।
৭ই মার্চ রেসকোর্স মাঠে উপস্থিত থাকার স্মৃতিচারণ করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ৭ই মার্চে ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্ন নেসা মুজিবের রয়েছে অসামান্য অবদান। ৭ই মার্চের বক্তব্য কি হবে তা নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে অনেকে পরামর্শ দিলে বঙ্গমাতা বলেছিলেন ‘সমগ্র দেশের মানুষ তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। তোমার মনে যে কথা আসবে সে কথা বলবে। বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে তোমার যে স্বপ্ন সেই কথাগুলো তুমি স্পষ্ট করে বলে দিবে’। আজ বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসাবে ইউনেস্কোর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য দলিলে স্বীকৃতি পেয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, স্বাধীনতা ও দেশবিরোধিরা বিদেশে বসে মিথ্যা প্রচার, প্রপান্ডা, ষড়যন্ত্র করছে। এসকল ষড়যন্ত্র উপযুক্ত জবাব দিয়ে আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ক্ষমতায় আনতে প্রবাসীদের ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, যে রাজনৈতিক দল ক্যান্টনমেন্টে গঠিত হয় সে দল কখনো জনগণের কল্যাণ করতে পারে না। অতীতে যেভাবে অগ্নি সন্ত্রাসী দলটি বাংলাদেশের জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল, আগামী নির্বাচনে তেমনি প্রত্যাখ্যাত হবে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আইরিন পারভীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান, শামসুদ্দিন আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাসিব মামুন, মহিউদ্দীন দেওয়ান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাজী দুলাল মিয়া এনাম, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক সোলায়মান আলী, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ আশরাফুজ্জামান, নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী, নিউ ইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ আতিক, সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, কানেকটিকাট স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল হক, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন আহমেদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ শাহনাজ, মোর্শেদা জামান, কবি সালেহা ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা অহিদুজ্জামান লিটন, সাখাওয়াত বিশ্বাস, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ নেতা সেবুল মিয়া, মিজানুর রহমান চৌধুরী, হুমায়ুন কবির, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জেড এ জয়।
উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাসুদ সিরাজী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন বাবু, দপ্তর সম্পাদক দুলাল বিল্লাহ, উপপ্রচার সম্পাদক শেখ শফিকুর রহমান। সভার শুরুতে শহীদদের স্মরণে মোনাজাত পরিচালনা করেন ইমাম কাজী কাইয়ুম।
অনুষ্ঠানে কৃষিবিদ মকবুল আহমদ তালুকদারের ‘শেখ হাসিনার’ ওপর লেখা সদ্য প্রকাশিত বইটি প্রতিমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়া হয়।