চীনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লি কিয়াংকে বেছে নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চীনের বৃহত্তম শহর সাংহাইয়ের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক প্রধান ছিয়াং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লি কুছিয়াংয়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
শনিবার সকালে রাজধানী বেইজিংয়ে পার্লামেন্টের জাতীয় গণ কংগ্রেসের প্রথম পূর্নাঙ্গ অধিবেশনে তার নাম ঘোষণা করা হয়। শি জিনপিং তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পরদিনই তাকে এই পদে অধিষ্ঠিত করা হলো।
জানা গেছে, বার্ষিক এ অধিবেশনে প্রায় তিন হাজার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্য ৬৩ বছর বয়সী প্রায় লি কিয়াং দুই হাজার ৯০০রও বেশি প্রতিনিধিদের কাছ থেকে ভোট পেয়েছেন। জিনপিংয়ের পরে লি কিয়াংই হবেন দেশটির দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় গত বছর দেশটির বাণিজ্যিক কেন্দ্র সাংহাইয়ে লকডাউন তদারকির দায়িত্বে ছিলেন লি কিয়াং। লকডাউনের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ধসে সমালোচিতও হয়েছিলেন।
শি জিনিপিং পূর্বাঞ্চলীয় ঝেজিয়াং প্রদেশের ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিল লি কিয়াং। তা ছাড়া চীনের সবচেয়ে বড় শহর সাংহাইয়ের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধানও ছিলেন লি কিয়াং।
গত অক্টোবরে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কাউন্সিলে লি কিয়াংকে পলিট ব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটিতে দ্বিতীয় শীর্ষ পদে আনা হয়। তখনই ধারণা করা হয়েছিল পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তিনি।
অন্যদিকে পাঁচ বছর করে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনকারী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কুছিয়াং আগামী সোমবার অবসর নেবেন।
২০১৩ সালে যখন কুছিয়াং প্রধানমন্ত্রী হন, কিছুটা উদারপন্থি হিসেবে পরিচিত এই নেতা চীনের রাজনৈতিক-সামাজিক পরিসরে পরিবর্তন আনতে কাজ করবেন এমনটিই প্রত্যাশা ছিল।
পশ্চিমা বিশ্লেষকরা অনেকে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু বলা হয়, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নানাভাবে তার ক্ষমতা খর্ব করে দিয়েছিলেন।