ইরানে স্কুল শিক্ষার্থীদের ওপর বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রশাসন। অন্তত পাঁচটি প্রদেশে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
স্কুলে যাওয়া ঠেকাতে ইরানজুড়ে মেয়েদের ওপর বিষপ্রয়োগের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে বইছে নিন্দার ঝড়। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিও জানিয়ে আসছেন বিশ্বনেতারা। বিশ্ব সম্প্রদায়ের এমন নিন্দা ও সমালোচনার মধ্যেই এবার মেয়েদের স্কুলে বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারের কথা জানালো ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে দেশটির উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ওপর ভিত্তি করে পাঁচটি প্রদেশে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো পূর্ণ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
গেল নভেম্বর থেকে ইরানে বিভিন্ন স্কুলে মেয়েদের ওপর গ্যাস প্রয়োগের ঘটনা ঘটছে। এতে শ্বাসকষ্ট, বমি ও মাথাব্যাথাসহ নানা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন গ্যাস হামলার শিকার শিক্ষার্থীরা।
ইরানি কর্তৃপক্ষের বরাতে দেশটির বার্তা সংস্থা আইএসএনএ জানায়, ২৫টি প্রদেশের অন্তত ২৩০টি স্কুলে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এর শিকার হয়েছেন পাঁচ হাজারের বেশি স্কুলছাত্রী।
তবে এসব হামলায় কোন ধরনের বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে এবং এর পেছনে কী কারণ থাকতে পারে তা শনাক্ত করতে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করা হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। যদিও এখন পর্যন্ত ব্যবহৃত বিষের ধরণ সম্পর্কে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে সোমবার (৬ মার্চ) স্কুল শিক্ষার্থীদের ওপর বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগের ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় জানিয়ে জড়িতদের ‘কঠোর শাস্তি’ পেতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।