অ্যাডভান্স সার্ভে ম্যাপিং প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রায় ৭ হাজারের বেশি নতুন দ্বীপ খুঁজে পেল জাপান। যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। দ্য জিওস্প্যাটিয়াল অথরিটি অফ জাপান (জিএসআই) সাম্প্রতিক সমীক্ষায় জানিয়েছে জাপানে মোট দ্বীপের সংখ্যা ১৪,১২৫। এর আগে ১৯৮৭ সালের সমীক্ষায় জানা গেছিল জাপানে দ্বীপের সংখ্যা ৬,৮৫২।
সিএনএন (CNN) এক রিপোর্টে একথা জানিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, ৩৫ বছর আগে যখন সমীক্ষা করা হয়েছিল সেই সময় প্রযুক্তি এত উন্নত ছিল না। ফলে এই সমস্ত দ্বীপের অধিকাংশ তখনও থাকলেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। সেই সমীক্ষায় বড়ো দ্বীপ এবং ছোটো দ্বীপের পার্থক্য নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।
এছাড়াও বিগত ৩৫ বছরে একাধিক জায়গায় অগ্নুত্পাতের ফলেও বেশ কিছু নতুন দ্বীপের জন্ম হয়েছে। এই সমস্ত দ্বীপও এই নতুন সমীক্ষায় যুক্ত হয়েছে এবং যার ফলে দ্বীপের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৭,২৭৩।
জিএসআই সূত্রে জানা গেছে যেসব দ্বীপ ১০০ মিটার বা ৩৩০ ফিট বা তার বেশি এলাকা জুড়ে আছে এবং স্বাভাবিকভাবে তৈরি হয়েছে সেইসব দ্বীপকেই এই তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এর সঙ্গে আকাশ থেকে ছবি তোলা হয়েছে এবং এরপর ছবির সঙ্গে সমীক্ষা রিপোর্টের তুল্যমূল্য বিচার করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো গেছে।
কোডো নিউজ (Kyodo News) জানিয়েছে, সর্বশেষ সমীক্ষায়, ২০২২ সালে জিএসআই-এর ইলেকট্রনিক ল্যান্ড ম্যাপের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দ্বীপগুলি গণনা করা হয়েছে এবং কৃত্রিমভাবে পুনরুদ্ধার করা জমি বাদ দেওয়ার জন্য অতীতের আকাশ থেকে তোলা ফটোগ্রাফ এবং অন্যান্য তথ্য সহ মানচিত্রটিকে পরীক্ষা করা হয়েছে।
কম্পিউটারটি ১,০০,০০০রও বেশি দ্বীপ শনাক্ত করেছে। শুধুমাত্র ১০০ মিটার বা তার বেশি পরিধির দ্বীপ সরকারী তালিকার জন্য বাছাই করা হয়েছে।
তালিকাভুক্ত দ্বীপ নির্বিশেষে একই ডিজিটাল মানচিত্র ব্যবহার করে জাতীয় ভূখণ্ডের মোট আকার গণনা করা হয়েছে। প্রত্যন্ত জাপানি দ্বীপপুঞ্জর ক্ষেত্রে একটি পৃথক সমীক্ষা করা হবে।
দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানের নাগাসাকি এবং কাগোশিমা অঞ্চলে যথাক্রমে ১,৪৭৯ এবং ১,২৫৬ টি দ্বীপ আছে। উত্তর জাপানের হোক্কাইডোতে ১,৪৭৩টি দ্বীপ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জাপানের সঙ্গে একাধিক দেশের সীমান্ত বিবাদ রয়েছে। যার মধ্যে রাশিয়া অধিকৃত দক্ষিণ কুরিল দ্বীপ সুপরিচিত। একইভাবে সেনকাকু দ্বীপ নিয়ে বিবাদ আছে চিনের সঙ্গে। ডোকডো অঞ্চল নিয়ে বিবাদ আছে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গেও।