২৯ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০৯:৩৯:৫২ পূর্বাহ্ন


প্লাস্টিক সার্জারি করে চেহারা বদলেও জালে কুখ্যাত ড্রাগ লর্ড
রিয়াজ উদ্দিন:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৩-২০২৩
প্লাস্টিক সার্জারি করে চেহারা বদলেও জালে কুখ্যাত ড্রাগ লর্ড প্লাস্টিক সার্জারি করে চেহারা বদলেও জালে কুখ্যাত ড্রাগ লর্ড


পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে এক মাদক মাফিয়া একইভাবে প্লাস্টিক সার্জারি করে সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছে নিজের লুক। যদিও তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেছে সে।

থাইল্যান্ডে শাহরাত সওয়াংজেঙ সেখানকার একজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। মাত্র ২৫ বছর বয়সি শাহরাত বেশ কিছুদিন ধরেই পুলিশের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিল। সূত্রের খবর, এমডিএমএ সহ বিভিন্ন রকম মাদক বিদেশ থেকে আমদানি করত সে। ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে বিদেশ থেকে ড্রাগ অর্ডার করত শাহরাত। তারপর ব্যাংককের ক্রেতাদের কাছে তা বিক্রি করত সে।

গত ৩ মাস ধরেই পুলিশ খুঁজছিল তাকে। কিন্তু কিছুতেই তার টিকিও ছোঁয়া যাচ্ছিল না। যাবেই বা কী করে, আত্মগোপনে থাকার সময় মুখে একাধিক প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে চেহারা একেবারে বদলে ফেলেছিল সে। কোরিয়ান যুবকদের মতো ‘লুক’ নিয়ে পরিচয় বদলে কোরিয়ান নাম ব্যবহার করে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে। এমনকী, কয়েকদিনের মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়া চলে গিয়ে সেখানে নতুন জীবন শুরু করার পরিকল্পনা ছিল তার।

কিন্তু সেসবও ভেস্তে যায়, যখন এমডিএমএ ছড়িয়ে দেওয়ার নেটওয়ার্কের সূত্র ধরে বিভিন্ন ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের খোঁজ পেয়ে যান তদন্তকারীরা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই শাহরাতের খোঁজ মেলে। সন্ধান পেতেই তড়িঘড়ি তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

শাহরাতকে পাকড়াও করার পর পুলিশ জানিয়েছে, তার পুরনো চেহারার ছিটেফোঁটাও আর অবশিষ্ট ছিল না। জেরায় অভিযুক্ত সমস্ত অপরাধ স্বীকার করেছে। সে আরও জানিয়েছে, থাইল্যান্ডে থাকতে থাকতে ‘বোর’ হয়ে গিয়েছিল সে, তাই খুব শিগগিরই দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাত্র ২৫ বছর বয়সেই দেশে মাদক পাচারের অন্যতম মাথা হয়ে উঠেছিল শাহরাত। ব্যাংককে এমডিএমএ মাদকাসক্তির ঘটনা ক্রমশ মহামারীর আকার নিচ্ছিল, আর তার পিছনে অন্যতম ভূমিকা ছিল ‘ড্রাগ লর্ড’ শাহরাতের। এর আগে তাকে তিনবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু প্রত্যেকবারই কোনও না কোনও উপায়ে পালিয়েছিল সে।