প্রেমিকাকে বারবার কল করায় ও বার্তা দেয়ায় ২২ বছরের এক তরুণ তার বন্ধুকে গলা কেটে হত্যা করেছে। পরে তার দেহ খণ্ড-বিখণ্ড করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। ঘটনা গত ১৭ ফেব্রুয়ারির। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে। খবর এনডিটিভির।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ জানিয়েছে, হরিহর কৃষ্ণ নামে ওই তরুণ প্রথমে তার বন্ধু নবীনকে গলা কেটে হত্যা করে। পরে তার শরীর থেকে হৃৎপিণ্ড বের করে আনে এবং গোপনাঙ্গ ও হাত-পায়ের আঙুল কেটে ফেলে। এসবের পর হরিহর কৃষ্ণ পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে।
পুলিশ অভিযুক্তের বক্তব্যের ভিত্তিতে একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে এবং বিষয়টির ওপর বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নবীন ও হরিহর কৃষ্ণ রাজ্যের দিলসুখনগর কলেজে একসঙ্গে মাধ্যমিক শেষ করেন। ঘটনার কেন্দ্রে থাকা মেয়েটিও একই কলেজের ছাত্রী। কলেজে থাকাকালীন দুজনই মেয়েটির প্রেমে পড়েছিলেন। তবে নবীন প্রথমে তার প্রতি তার ভালবাসা প্রকাশ করে এবং সেই তরুণী তার প্রস্তাব গ্রহণ করে। যদিও কয়েক বছর পরে দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে এবং তরুণীটি হরিহর কৃষ্ণের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে।
তবে সম্পর্ক শেষ হয়ে যাওয়ার পরও নবীন ক্রমাগত ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করতে থাকে এবং তাকে বিভিন্ন ধরনের বার্তা এবং বারবার কল করতে থাকে। বিষয়টি জেনে হরিহর কৃষ্ণ খুবই রাগান্বিত হন এবং নবীন শিক্ষা দেয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকেন। তাকে তিনমাস অপেক্ষা করতে হয়।
ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখে নবীন ও হরিহর প্রচুর মদ পান করার পর নোংরা ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে এবং হরিহর নবীনকে গলা টিপে হত্যা করে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত হরিহর নবীনে মাথা শরীর থেকে করেছে, তার গোপনাঙ্গ, হৃৎপিণ্ড বের করেছে এবং আঙুলগুলো কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে।