ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণহানি হয়েছে ৩৬ জনের। এখনো নিখোঁজ রয়েছে অনেকে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে কয়েক শতাধিক মানুষ।সোমবার দেশটির সাও পাওলো প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ব্রাজিলে গেলো ২৪ ঘণ্টায় ৬৮৭ মিলিমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে বৃষ্টিপাত। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সান সেবাস্তিয়াও এবং বার্তিওগা শহর। গোটা লোকালয় বন্যায় পানিবন্দি। তাছাড়া পার্বত্য এলাকা থেকে ভারি পাথর গড়িয়ে পড়ে গুড়িয়ে দিয়েছে ঘরবাড়ি-স্থাপনা। একইসাথে গাছ ভেঙে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক গাড়ি।
স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে সাও সেবাস্তিয়াও শহরের মেয়র ফিলিপ অগাস্তো বলেছেন, সান সেবাস্তিও শহরে অন্তত ২৩ জন এবং উবাতুবা শহরে এক কিশোরী মারা গেছে। ভূমিধসের কারণে শহরে ৫০টি বাড়ি ধসে পড়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, সাও পাওলোর উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। আর সেটি হলে সিভিল ডিফেন্স এবং ফায়ার ডিপার্টমেন্টের উদ্ধারকারী দলের উদ্ধার তৎপরতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে এবং এতে করে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা, অবকাঠামো পুনরুদ্ধার এবং পুনর্গঠন কাজ শুরু করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে ব্রাজিলের ফেডারেল সরকার। অন্যদিকে সাও পাওলো প্রদেশ সেখানকার ছয়টি শহরের জন্য ১৮০ দিনের বিপর্যয়কর সময় ঘোষণা করেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এলাকাগুলোর সঙ্গে ফের সংযোগ সংস্কার করা হচ্ছে। ব্রাজিলের কার্নিভাল উৎসবে যোগ দিতে গিয়ে দেশটিতে আটকা পড়ছেন অসংখ্য পর্যটক।
প্রাদেশিক সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাও পাওলোর গভর্নর তারসিজিও জি ফ্রেইতাস দুর্যোগ পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসবেন। কারণ ফেডারেল সরকারই চলমান এই দুর্যোগের প্রতিক্রিয়া সমন্বয় করবে।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুয়িজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, সোমবার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করতে যাবেন তিনি।