ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা। ভয়াবহ এই দুর্যোগের ১২ দিন পর নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৬ হাজার। ধ্বংসস্তূপ থেকে এখনও মরদেহ বের করছে উদ্ধারকারীরা। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর আলজাজিরা।
ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত দুই দেশের ৪ হাজারেরও বেশি ভবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্কের অন্তত ১০টি প্রদেশ।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত তুরস্কে নিহত হয়েছে ৪০ হাজার ৬৪২ জন। একই সময় পর্যন্ত সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৮০০ জনের।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতে বলেছেন, প্রায় ২০০ স্থানে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখনও মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে। তাদের উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ অপসারণেও অভিযান শুরু হয়েছে।
সময়মতো ত্রাণ না পাওয়ায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে ভূমিকম্প কবলিত এলাকায়। সেইসঙ্গে চলছে তীব্র শীত। ক্ষুধা ও শীতে ভুগছেন অনেকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, ভূমিকম্পে যারা বেঁচে গেছেন তাদের অনেকেই আশ্রয়, খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও জ্বালানির অভাবেও মারা যেতে পারেন।
এদিকে তুর্কি সরকারের হিসাব অনুযায়ী, ভূমিকম্পে দেশটিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৩ লাখের বেশি মানুষ।
তবে সিরিয়ায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী এল-মুস্তফা বেনলামিল জানিয়েছেন, দেশটিতে এক কোটিরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংস্থাটির আশঙ্কা, দুই দেশে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আধুনিক তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা এবারের ভূমিকম্প। পরিস্থিতি সামাল দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ানের সরকার। অন্যদিকে, সিরিয়ার ট্র্যাজেডির শিকার মানুষদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।